মঞ্চের পাশে রঙিন পোশাকে ঘোরাচ্ছে সে এক ছড়ি,

দর্শকসব উৎসাহী খুব, বারবার দেখে ঘড়ি,

মানুষ নয় সে জোকার একখান,এই শুরু হবে খেলা।

বাচ্চারা সব উসখুশ খুব, তর সইছেনা এইবেলা।

রংমাখা মুখ, করবে এখুনি কত ঢং কসরত,

হাসির দমকে কষ্টেরা পাবেনা পালাবার ফুরসৎ।

দায় জোকারের শুধু দুইখানি, হাসি আর পরিবার।

বহুদিন তার স্বাধীনতা নেই আর কিছু ভাববার।

আজকের বিকেল রাখেনি খবর কাল কি রাত হয়েছে পার,

চোখ ভিজে এলে রঙ যাবে ধুয়ে এই ভয় শুধু তার।

প্রিয়তমা তার অন্যের প্রেমে দিয়েছে গলায় দড়ি,

কাঁপাহাত জোকার আলগা করেনি,পড়তে দেয়নি ছড়ি।

খেলা জোকারের জমে গেছে এখন,উঠেছে হাসির রোল।

তবুও কেন যে কানে বাজে সেই কালকের হরিবোল!

এতদিন ধরে এত ক্ষত তার কেউ কি চায়নি জানতে!

জোকারের আবার মন হয় নাকি!পারেনি বোধহয় মানতে।

খেলা শেষ প্রায়,ধীরে ধীরে জোকার সরে যায় পাশটিতে,

ক্ষত কি তার পড়বে ধরা পোস্টমর্টেম বা অ্যানজিওপ্লাস্টি তে!

মানুষ না হোক, নায়ক সে আমার,কত সহজে সবারে হাসায়!

কষ্টের কথা কত মজার দেখায় তার শরীরের ভাষায়।

পুনর্জন্মে মানুষ হয়ে আবার যদি দুই পায়ে আমি হাটি।

মুখে মেখে রঙ,তুলে নেব হাতে জোকারের সেই রঙিন লাঠি।



লো.ভ.