কুসুম গগন দেয় বিলিয়ে  আমার প্রানের সুর গুলি
চিলের পাখায় পবন ছুঁয়ে  নাচে সাঁঝের  ফুলকলি ;
দৃষ্টিনন্দন কারু তাঁহার, হৃদয় স্পর্শা হাসির জোয়ার
ঝরা হাসি ভিজায় মনের হাসনাহেনা, শিউলি, বেলি।


নীলাভ-সাদা হাসি ঠোঁটে মাধবীলতায় ঢাকা পথে —
কৃষ্ণচূড়া আকাশ পানে হাঁটছি আমি উল্টো — রথে ;
মন খারাপের চোখ ভিজেছে গ্রীষ্ম শিশির জমা ঘাসে
বাতাসে আজ রঙিন সলীল, হচ্ছে বিলীন রাশে রাশে
বাড়িয়ে দু'হাত ছুঁয়ো গো তা একেলা রাতে সঙ্গ পেতে।


ঝরা পাতায় ঠান্ডা শিশির জমবে আজো গ্রীষ্ম রাতে—
সৃজন খুশির তালবাহানায় নাচে কোকিল জৈষ্ঠ্য প্রাতে
সবুজ ঘেরা কলমী দিঘি, কচুরিপানার কালো - জলে
দেখবে সেথায় ভাসছে হংস সূর্য জাগার শব্দে মেতে ।