ব্যস্ত একটা রাত পার হচ্ছে নীরবে।
কবিতার মর্মকথা বারবার নাড়া দেয়,
কিন্তু ও যে কবিতা নয়
মৃত্যুর আলিঙ্গনে আবদ্ধ কোনো এক প্রেতাত্মা।
শরীরের ঘাম বেয়ে পড়ে, মিশে যায় কামনার উসকুশে।
মোমবাতির তলাটা গাঢ় অন্ধকার,
গলির মোড়ে দুইটা শেয়াল প্রতিযোগিতায় মত্ত।
প্রসব ব্যাথায় নাকি শুকনোয় শোবার আশায় তা কে জানে!
আজ আর ঘুম আসবে না, রামায়ণ খোলে বসে আছে স্নিগ্ধ,
না এবার সে আমি নই। আমায় ডাক দেয়, তবুও ডাক নেই।
নিজের অজান্তে দুইটা পাতা উল্টিয়ে ফেলে দেয় বইটা,
না ওর হাত থেকে পড়ে গেছে হয়ত।
দিব্যাস্ত্রের ঝলক টিনের চাল ফুটু করে চোখে আসে,
চোখ ঝলসে দেয়। মানস নেত্র জ্বলে পুড়ে চিত্তের পর্দা সরায়।
দু'জন রূপবতী পাশে বসে, জ্ঞানেন্দ্রীয়া- কর্মেন্দ্রিয়া।
ষড় শত্রুর মুখ তখন পাংশুটে।
ঘন বাদলে হয়ত আর যাওয়া হবে না, পুনরায় রথী ভার নিলে।
দু'হাত এক করে অজান্তে তুলে নিলে গগন মুখে,
"বিধাতা মোর, সৃষ্টির ঊষা লগ্ন হতে আমার ভেতর ছিলে
কোন এক দৈব বলে আমি চিনিলাম তোমায়।"
ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঁ লুটিয়ে পড়ে মেঝেয়। ঘামের পুরো আস্তরণ চোখের পাতায়।
বকনা বাছুরের ক্ষুধার ক্ষিপ্রতায় ভাঙে ঘুম, এলোপাতাড়ি শুয়ে দেহটা।
রথী দেহের চাহিদা জানতে চায়, কিন্তু সে সায় নয়।
এবার স্নিগ্ধ মাথা নাড়ে, স্নিগ্ধ নয়, স্নিগ্ধ আমি।