আমি হারিয়ে গেছি নব বসন্তের প্রভাতে
অগ্নি চোখের আড়ালে - মেঘের পাখাতে ;
বিষাদগ্রস্ত ঘুম-ধরা ঝিঁঝি পোকার ডানায়
একতারাতে তাল হয়ে,হলেম ভবঘুরে কানাই।


সুরের ছন্দে নেচে গাহি কোকিলেরই ডাকে
শস্য ক্ষেতের কাদার সরে সারাটাদিন মেখে!
হিজল সুদ্ধ দিঘির জলে করি প্রণয় খেলা,
খয়েরি রাঙা আঁকায় সাজাই মধুর সন্ধ্যা বেলা!


আমি কলাপাতার পাতলা রঙে থাকি ছবি হয়ে,
এক্কাদোক্কা, পুতুল খেলায় জড়িয়ে শিশুর গায়ে।
বাঁশ পাতাতে ফোঁটাকতক শিশির জলে মিশে
বুলবুলিতে পান করিবে গ্রীষ্ম ত্যাগের তিয়াসে।


তেঁতুল বেশে গাছ কেশে, রইছি গো আজ ঝুলে-
দর্শনে মোর, কুমারীর জিহ্ব ভিজে লোভের জলে।
আমি সফেদা ফুলের গন্ধ মেখে মাটিই রাঙা গায়ে,
বকুল মালার নুপুর সেঁজে নাচি অবুঝ পায়ে।

আমি থাকি সবুজ বেশে, প্রকৃতির এই দেশে
মৃত্যুগঙ্গা পাঁড়ি দিয়ে বাঁকা ঠোঁটে হেসে  ;
ফিরি ধরায় সাঁতরে মেঘে বজ্রধ্বনি সেজে,
কৃষ্ণচূড়ার লালে মিশে ঝুঁটি বাঁধা কেশে।