বিজয়, এসেছো কি তুমি?
কেন আজো রাজপথে
জ্বালো জ্বালো স্লোগান
গুলি চলে মিছিলে?
কেন আজো সদ্য প্রণয়ী হয় বিধবা,
ককটেল হাত বোমে?
বাতাসে কেন বারুদের গন্ধ,
পাকে হিংসের কুণ্ডলী,
ভালবাসা ভোগে ফুসফুস ক্যান্সারে?
এ কিসের উল্লাস
ভাইয়ের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে_
তাজা রক্ত, বুক ছিন্ন করে ফিনকি দিয়ে বেরিয়েছে
ঐ হায়েনাদের থাবাতে?
কেন মালিক-জোঁক
পেট ভারী করে,
শ্রমিকের রক্ত চুষে চুষে?
কেন আজো দূর্নীতির অভিযোগে
দূর্নীতি করে?
কেন আজো বিভেদ ষড়যন্ত্রে
সাথিয়া-রামু পুড়ে?
বিজয়, তুমি জবাব দাও,
দিতেই হবে তোমাকে,
কত জ্যা..ব্যাসার্ধ ছেদ করে যাবে,
পরিধি রাখবে বেঁধে শোষণের বৃত্তে?
আর কত ক্ষুধিরাম-মাষ্টারদা-প্রীতিলতা
রফিক-শফিক-জব্বার
ফাঁসি গলায়..বুকে বুলেট তুলে নিলে,
আর কত পঁচিশে মার্চ হলে
রক্ত সাগর স্রোতে ভেসে
সত্যি তুমি আসবে
ডিসেম্বরের ষোল হয়ে?