জন্মাচ্ছো পর্শুকার পাশে
থাকো গাপটি মেরে শুক্রাশয়ে
সাঁতরে যাবে সিমেনের স্রোত
নতুন প্রাণে প্রাণী শরীর সৃজন প্রয়াস
অন্তিম অনন্ত চুম্বন ডিম্বাণু গায়ে!
হ্যাঁ, শুক্রাণু, তোমাকেই বলছি
রক্তে তড়িৎ প্রবাহ, ত্বকে ইরেবাসের উত্তাপ
প্রেম আয়োজনে কাম নিঃসরণ
হয়ে উঠে তুমি মানব ভ্রুণ
আসতে যাচ্ছো বর্ণিল নশ্ব।র আলো-বাতাসে,
মার্কিন সাম্রাজ্য কালো-শাসনে
দেখবে এখানে অমূল্যকে বাজারে তোলে।


দেখবে লোক দেখানো গণতন্ত্র
সব চোর ছ্যাচ্চরের দল, ভণ্ড-প্রতারক
আসনে বসে, যেন টাটকের খেল!
নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে
সমাজ সবচেয়ে অনিরাপদ তাদেরই হাতে
ঘুষ খেয়ে বুলেট ছুড়ে শোষিতের বুকে,
এতো এতো মিডিয়া, তথ্য স্বাধীনতা
সমালোচনা হলেই প্রধানের গা পোড়ে!
বাসে জীবন্ত পোড়ে শেষ হয় জীবন
ব্যথিত মানবতা পোড়া কয়লা দুঃশাসনে,
দেখবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে
কিছু অমানুষ সুবিধা ভোগে
লাখো লাখো কাঁচা বুকে নিশংস হতাশা অবিচারে।


দেখবে মৌলিকতায় ভেজালের বাড়াবাড়ি
বিধ্বস্ত ভবনের তলে, ওয়াশার পানির লাইনে
গলিত লাশের গন্ধ, গুম হয়েও বিদ্রোহে
ভেসে উঠে নিত্য নদীর স্রোতজলে,
রাকিব-রাজনের নরক কাঁপানো মৃত্যু
শয়তানও শিউরে উঠে
বিচারের পথ এতোই শ্লথ!
আরো শত শত সুমনা রোমেনাদের
দগ্ধ শরীর, জ্বলন্ত খুনতিই
খুদিত অক্ষরে লেখা মামলার ফাইল
চাপা পড়ে যাবে, যেমন চাপা দিয়ে দিয়ে
কোটি বছরে এ নষ্টের পৃথিবী।


দেখবে, রেহানে জাবারি
সম্ভ্রম নয় ছোরা দিয়েছে লম্পটের বুকে,
ঝুলিয়েছে তারে অবিচার শরীয়াহ্ আইন!
দেখবে বিশ্ব নেতাদের বেহায়াপনা,
সন্ত্রাস দমনের ধুয়া তোলে
কোটি জনতার ঘরে আগুন
তারা যেন পতঙ্গ প্রাণ!
রোজ নিয়ম করে মারে,
শ্বাসে শুধু বারুদের গন্ধ তোলে,
মর্টার শেল, ছিন্নবিন্ন মগজ, রক্ত, কলিজা
নিষ্প্রাণ দুচোখ অপলকে পচন মুখে
দেখে নরককুণ্ড এ পৃথিবীর শেষ!
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন
শীর্ষ সম্মেলন, পুরস্কার না উৎকোচ
হেসে হেসে উপহাসে হাঁটে অন্তিম পথে
বিলুপ্ত বিপন্ন প্রাণ, নেতাদের দল
খেলছে হলি ধ্বংস লীলায়
রম্যরসে প্রহসনে,
দলের হয়ে কথা বললে
চ্যাম্পিয়নস কিংবা নোবেলও মিলে!


হে শুক্রাণু, ভেবে দেখো
পারবে কি আসতে এ পৃথিবীতে
গর্ভেই যখন গুলি খেতে হয়
কিংবা দেশ ছেয়ে যাওয়ার পথে
ভেজাল ডাক্তারে?
এলে, কোন দলে?
তেল নিয়েই আসবে?
বাম ডান না মধ্যমাতে মাখাবে?
না পারবে ছড়িয়ে দিতে
সবুজের বুক থেকে
একটা স্বর্গীয় শান্তির শীতল ঢেউ
এ জবড়জঙ্গ কোন্দলে?
ভেবে দেখো......