ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য দুঃখিত!এভাবে ভয় পাবে;ভাবতেই পারিনি!কি যে করি!?অনেক দিন কথা হয়নি!মনের অনুমতি হীন কথাগুলো বলে ফেলেছিল জবান।হয়েছিল তেষ্টা মুক্ত,বাঁচিয়েছিল প্রাণ!


ভয়ের কারণ নেই!অদৃশ্য হতে ভেসে আসা কথাগুলাে আমারই ছিলাে,আবারও বলছি!কথাগুলাে আমারই ছিলো;ভৌতিক নয়!যে পাখিটি কোলে বসেছিল;সেই পাখি কিন্তু পাখি নয়,আমিই ছিলাম!দেখা পাওয়ার জন্য ;স্পর্শ পাওয়ার জন্য;রূপ বদল করা ছাড়া উপায় ছিল না!


তুমি যে এতটা পাখি প্রেমী;জান্তাম নাতো!আথিতেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি,অন্তরটাকে দেখে মন ভরে গেলো!কোলে কাটানাে সময়টা ছিলাে শ্রেষ্ঠ সময়।


যে প্রজাপতিটি হাতে বসেছিল,সেটিও আমি ভিন্ন অন্য কেউ নয়।সেদিন যে জোনাক পোকাটি ধরেছিলে,সেটিও কিন্তু আমিই ছিলাম।


ভূত নয়!সত্যি-সত্যি-সত্যি!আমিই ছিলাম।লেখাগুলো পড়ে বিশ্বাস করতে কঠিন হবে জানি,তবুও;ভালোবাসার দিব্যি দিয়ে বলছি!আমিই ছিলাম!


কথা দিলাম!আগামীকাল ফের দেখা করবো,দূর করব তােমার মনের ভয়।কোকিলের রূপ ধরে আসব কিন্তু!নাম ধরে ডাকবো,বাতায়ন খুলে রাখবে।


যে রূপে দেখতে চাইবে,তেমনটি হব,যদি চাও মানব রূপ;মানব রূপে পাবে,যদি চাও প্রজাপতি কিংবা জোনাক;তাও পাবে!নিশ্চিত,তখন দূর হবে ভয় চিরতরে।


আর কেহ দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না!কাছে থাকা না থাকা ইচ্ছাধীন!ইচ্ছাধীন চাবি এখন আমার হাতে!অনেক সাধনায় করায়ত্ত করেছি।সম্ভব হয়েছে তােমার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে।


জানি,সাক্ষাত কালে অনন্ত কোটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে!উত্তর দিতে প্রস্তুত আমি!কিন্তু,প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য চাই,এক একটি রজনী,সম্মুখে থাকতে চাই অনন্ত কাল,অনন্ত কোটি প্রশ্ন এবং উত্তরের মধ্যদিয়ে।


পাখির সমাদর কমেনা যেন!বাড়ালে আপত্তি নাই! ভয়হীন ভালো থেকো।


(স্বপ্নে লেখা চিঠি)