নিষ্পাপ হাসির রব ভাসে যবে কানে,
দ্রুত বেগে ছুটে মন শৈশব কাননে।
ঢেউয়ের উচ্চধ্বনি করে রাঙা মুখ,
থাকি নিজে ধ্বনিহীন ভরেনা যে বুক!
খলখল করে চাই হাসি গুলো দিতে,
অনন্ত ধ্বনির সনে একাকার হতে।
না-পারার কষ্টগুলো দেয় পিড়া মনে!
যেতে চাই যুদ্ধ করে বার্ধক্যের সনে!
সর্বদা বদনে মোর রাখে তালা দিয়ে!
সুখ পায় অস্তাচলে দেহটাকে নিয়ে।
হাসির কারণে দণ্ড পেয়েছি অনেক,
এই জীবনের সর্ব শাস্তির অর্ধেক।
অনন্ত বকুনি মোরে দিয়েছিল মাতা,
হিসেবটা নেই তাই স্মৃতিপটে গাঁথা।
করে না এখন কেউ বুড়োকে শাসন,
অন্ধকার চুপিসারে পেতেছে আসন।
বারবার কণ্ঠস্বর কেন রুদ্ধ করে!?
আঁধারের বাস কেন আমারই ঘরে!?
কান ধরে বিতাড়িত করতেই হবে!
বদনে হাসির ধ্বনি আনতেই তবে!
শতত লড়াই করে বধিব বার্ধক্য,
শৈশব হাসির সনে চাই সদা ঐক্য।