আলোকিত ছিল কায়া উদয়ের কালে,
মনু নদী এবং মা'য়ের যত্নশীল কোলে।
ধীরেধীরে উঠেছিল পঞ্চাশটা ধাপ বেয়ে,
মন্দভাগ্য নামাচ্ছে যে জোরে ধাক্কা দিয়ে।
ঘন মেঘের আবরণে যাচ্ছে হারিয়ে আলো,
ঝরিতেছে নেত্র বারি মেঘ জমেছে কালো!
মুখে তাহার ফুটে না আর স্পষ্ট করে কথা,
দেহ-মনে রয়েছে তার অনেকখানি ব্যাথা!
নিকট কালেও এই দেহটি ছুটেছিল বেগে,
বাঁধা পেলে সাথেসাথে যেত অনেক রেগে!
খেলার মাঠে বলের পিছু ছুটেছিল রোজ,
বর্তমানে চায়না নিতে বল ও মাঠের খুঁজ।
বিদ্যালয়ে স্থান ছিল তার প্রথম সারিতে,
স্রষ্টা কেন কমায় গতি নতুন  ঘড়িতে!?
অচল দেহ খুঁজে এখন বিছানায় যে সুখ,
গত দিনের ছবি দেখে অভ্যন্তরের চোখ।
ঘুমচ্ছে সে নিকেতনে ছায়ার নিচে কোনে,
যুদ্ধ করে এখনও যে হাসি ঠোঁটে আনে!
স্বচক্ষে এই দৃশ্য দেখে ঝরছে শুধুই বারি!
কেমন করে নেত্র ভাঙন বন্ধ আমি করি!?
বন্ধু যদি পায় ফিরে তার হারানো সব ধন,
তবেই বন্ধ হবে আমার অন্তরের রোদন!
দয়া করো ভুবন মাঝি রক্ষা করো তাকে!
হাটে-ঘাটে-মাঠে যেন নয়ন তাকে দেখে।
হাসির বানে হাসে যেন এই প্রকৃতির মুখ,
মুছে দিয়ে এই দূর্দশা দাও শুকিয়ে চোখ।