চৈত্র মাসের দুপুর,অতি শুষ্ক আবহাওয়া,তৃষ্ণার্ত ধরণীতল,কাঠফাটা অগ্নি গোলা রোদ;  
দেখেছিলাম তখন,অগণিত ক্ষুদ্রাকায় পিঁপড়ের আনাগোনা,ছিলনা কারোর মধ্যে ক্রোধ।


বিস্মিত হয়েছিলাম!এমন দুঃসময়েও তৃষ্ণার্ত পিঁপড়েদের ধৈর্য ধারণ দৃশ্যটা দেখে;    
শুরু হতে শেষ অব্দি,সম্পূর্ণ দৃশ্যটিকেই,মস্তিষ্কে রেখেছিলাম অতিযত্নে নেত্র দিয়ে এঁকে।    


শৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ উৎকৃষ্ট বন্টনক্রিয়া,নাড়া দিয়েছিল মোর মনের সীমাহীন গহীনে!
মনোমুগ্ধকর দৃশ্য,আপন অন্তরটাকে করেছিল আন্দোলিত,ঢেউ খেলে প্রতি ক্ষণেক্ষণে।  


দৃশ্যটির কোথাও যে ছিলোনা প্রতিযোগিতা,ফুটে উঠেছিল হেথা হুবহু মানুষেরই ধর্ম;  
পরিপূর্ণ শৃঙ্খলায়,একফোঁটা জল দ্বারা,তৃষ্ণা নিবারণ সত্ত্বে,সংঘটিত হয়নি অধর্ম।  


করিয়া অবলোকন,কেঁদেছিল দু'নয়ন!শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কেন এতোটা অধঃপতন!?  
সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব কেন,স্রষ্টা প্রদত্ত উৎকৃষ্ট জ্ঞান বুদ্ধির মাধ্যমে,করেনা উত্তম আচরণ!


কর্ম দ্বারা কেন করে,হিংস্র জীবের মতন, গর্জন-ভক্ষণ আর,ঘৃণ্য পশুজীবন ধারণ!  
চায় না কুকিল সুর,চায় না বাবুই কর্ম,শকুনের মতো উড়ে!করে সিংহ কে অনুসরণ!