অসুর নিধন কালে
ছিল যে মা'য়ের অগ্নি রূপ,
ছিল সেদিন অগ্নিতে
অসুর জাতির মৃত্যু কূপ।
দেখে লাল অগ্নি মূর্তি,
চলে শুধু দেবীর আরতি,
কেঁপেছিল অগ্নি তেজে
স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল-ধরিত্রী।
অনন্ত অসুর তাতে
জ্বলেপুড়ে হায়েছিল ছাই,
স্বর্গ লোকে হয়েছিল
আবারো দেবতাদের ঠাঁই।
প্রতিবার অগ্নিমূর্তি
এনেছে জগতে সুখ-শান্তি,
এখনো যে আগমনে
দূর হয় চিত্তের অশান্তি।
ধরাধামে পদার্পণে
থেমে যায় পাপের উত্থান,
স্বচ্ছ হয় কালো চিত্ত,
সতেজতা ফিরে পায় প্রাণ।
মহিষাসুরের মত,
হয়তোবা এত মন্দ নই,
তবুও যে মতাদর্শে
স্বেচ্ছায় পরিচালিত হই!
তামসিক কর্ম দ্বারা
নিজেকে আচ্ছন্ন সদা রাখি,
মনোরঞ্জনের তরে
পাপের আলয়ে রঙ মাখি।
সারাটি বছর জুড়ে,
শুধুমাত্র কুফল কুড়াই,
মা এসে কুড়ানো ফল,
করেন অনল দিয়ে ছাই।
ভয়ংকর অগ্নি মূর্তি
দেখতে পাইনা ভাগ্যগুণে,
রক্তে ভেজা মূর্তি দেখে,
মরতে চাইনা কভু রণে।