রয়েছ সার্বক্ষণিক
চলন্ত ছায়ায়,
দেখছি ছায়াগুলোর
চঞ্চল কায়ায়।
গ্রহ-তাঁরা-উপগ্রহে
আছো বিরাজিত,
আছো সিন্ধুর লহরে
গীতি নৃত্যে রত।
স্নিগ্ধ বাতাসের সনে
পুষ্পের সৌরভে,
অম্বরে সূর্যের গায়ে
আলোর গৌরবে।
চন্দ্রের হাসিতে আছো
তাপহীন স্পর্শে,
পাই দেখা বারবার
নভঃ যবে বর্ষে।
অস্তিত্ব বিরাজমান
সর্ব আকৃতিতে,
মুদিত চোখের গর্ভে,
স্বর্গে এবং মর্ত্যে।
প্রতি নিঃস্বাসে-প্রশ্বাসে
রয়েছ সবার,
উপস্থিতি করে রক্ষা
দেহের আকার।
সবকিছু ভেঙে দিয়ে
নিজে তুমি গড়ো,
সবার প্রতিপালন
নিজেই যে করো।
তোমারই চালে সব
চলে অবিরত,
মুহুর্তেই ঋণী শক্তি
হয় অবনত।
অশেষ দয়ায় দেখা
জলে-স্থলে পাই,
নয়নের জ্যোতি মোর
বাড়িয়েছ তাই।
প্রতিটি কণায় দেখি
অতি সুক্ষ্ম রূপ,
গগনে বিশাল তুমি!
পবনে অরূপ।
২০/১০/২০২২