তিনশত পঞ্চাশ বৎসর পূর্ব হতে
আজিকার কথা,
শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধামের ইতিবৃত্তে
স্বর্ণাক্ষরে গাঁথা।
ভক্তদের চিত্ত আনন্দিত হয়েছিল
সন্ন্যাসীদের আগমন পর্বে,
প্রতিটা চিত্তে আনন্দ ধারা প্রবাহিত
আজও পাদ চিহ্নের গর্বে।
বৃক্ষের ছায়ায় বিশ্রামরত সন্ন্যাসী
স্বপ্নযােগে দেখতে পান,
অদূরেই ভগবান শ্রী বিষ্ণু পদ-
চিহ্নে রয়েছেন বিরাজমান।
সন্নাসীরা শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম সহ
পদচিহ্ন যুক্ত প্রস্তর খুঁজে পান,
সম্মিলিত কণ্ঠে শুরু হয় তৎক্ষনাৎ
পালন কর্তার ভজন গুনগান।
দ্রুত গতিতে চৌদিকে ছড়িয়ে পড়ে
পাদ চিহ্নের কথা কাহিনী,
উচ্চ রবে উচ্চারিত হতে থাকে
শ্রী শ্রী বিষ্ণুর জয়ধ্বনি!
জমিদার চাইলেন প্রস্তর খণ্ড নিয়ে
যেতে নিজ আলয়ে,
সর্ব চেষ্টা ব্যর্থ হলো,অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের
পালন কর্তার বলয়ে।
শেষ পর্যন্ত জমিদার সর্বানন্দ শিরাে-
ধার্য করলেন বিষ্ণুর ইচ্ছা,
পূজার যথাযথ ব্যবস্থাদি করলেন,
ভূমি দান করলেন সেচ্ছা।
পঞ্চরাম মিত্র, বলরাম দত্ত পর্যায়-
ক্রমে করলেন দায়িত্ব গ্রহণ,
তৈরি হলো মন্দির- নাট মন্দির,
পুকুর হলো খনন।
অগণিত সেবায়েত দ্বারা পরিচালিত
বিষ্ণুর চরণ পূজন,
উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে সর্বাগ্রে কৃষ্ণ
দাস ও রাধারমণ।
ব্রিটিশ বিরােধী সংগ্রামী নিকুঞ্জ
বিহারী গােস্বামীর আগমন,
ত্বরান্বিত করে বিষ্ণুপদ ধামের
অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন।
ডঃ মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর আগ-
মন ঘটে শুভ ক্ষণে,
তেরােশাে ঊননব্বই সালে,ফাগুন
মাসে তীর্থ পর্যবেক্ষণে।
পদচিহ্ন দর্শনে ডঃমহানামব্রত ব্রহ্ম-
চারীর নয়নে আসে জল,
জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয় বিষ্ণুপদ
ধাম,হরিবোল-হরিবোল!
ব্রক্ষচারীর মুখে উচ্চারিত হলো
বিষ্ণুপদ ধামের মহিমা,
গয়া তীর্থ সম বিষ্ণুপদ ধামে আছে
চির মুক্তির পথ ও ক্ষমা।
শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধাম আর গয়া তীর্থে
নেই কোন ভেদ,
দর্শন- স্পর্শন ও পিণ্ড দানে একই
ফল একই বিধি নিষেধ।
ডঃমহানামব্রত ব্রহ্মচারীর উদঘো-
ষণ যায়নি বৃথা,
জগৎ জুড়ে শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধামের
মহিমা যুক্ত কথা।
ভক্তের স্রোতে মুখরিত থাকে সদা
বিষ্ণুপদ ধামের পূণ্য ভূমি,
ভক্তের গড়াগড়িতে বিষ্ণুপদ ধামের
ধুলো স্বর্ণের চেয়েও দামী।
সারা বৎসর বিষ্ণুপদ ধামে চলে
নানা অনুষ্ঠান পুজার্চনা,
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, সর্ব দেব-দেবী,
আপন আপন শুরুর ভজনা।
গৌর পূর্ণিমায় শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধাম
যেনো মথুরার বৃন্দাবন,
লক্ষ লক্ষ ভক্ত নাম যজ্ঞে করে নাম
সুধা শ্রবণ-কীর্তন।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ
হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম
হরে হরে।
শ্রী শ্রী বিষ্ণুপদ ধাম
তারাপাশা,রাজনগর,মৌলভীবাজার।