কবিতাঃ জীবন অন্তিম বেলা
প্রশান্ত মিত্র (শান্তা)


গৃহে ছিলো বত্রিশ জনের
সহাবস্থান
কাঁদায়ে করিল একজন,
আমা হতে প্রস্থান।


হাসিতে সৌন্দর্য,আহার
কার্য সাধন
মিলে-মিশে কর্ম ছিলো
একসাথে রন্ধন।


শৈশব-কৈশােরে বিদায়
নিয়েছিলো জনে-জনে
আবারও এসেছিল ফিরে,
আমার প্রয়ােজনে।


এতদিন করেছে সবাই
আমার কর্ম
পরের তরে কর্ম করা
তাহাদের ধর্ম।


বিনিময়ে করেছি ওঁদের
হাজারো নির্যাতন
যুদ্ধে ঠেলে দিয়েছি সদা,
করিনাই রক্ষণ।


প্রতিবাদী হয়েছে সবাই,
বিদ্রোহে লিপ্ত!
বিষের জ্বালায় করে এখন,
জনে-জনে তপ্ত!


মোর অশ্রু জলে ওঁদের সুখ;
প্রতিশােধের নেশায়!
খেয়ে-পরে,বাস করে মোর
গৃহে,আমাকে শাসায়!


একেক জনের একেক মত,
চাহিদাতে ভিন্ন ধরন
কেউ চায় ঠান্ডা,কেউ চায়
গরম,কেউ বা সংমিশ্রণ।


ভূমিষ্ট লগ্নে,ওঁরা কেহ ছিলো
না মাের সাথে
শেষ যাত্রায় থাকা না থাকা;
অতিথিদের হাতে।


তবুও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি;
করিব না আর হেলা
একত্রিশ জনকে চাই আমি;
জীবন অন্তিম বেলা।


(বত্রিশ জন =৩২টি দাঁত)


১৩/০১/২০২১ খ্রিস্টাব্দ
২৯/০৯/১৪২৭ বঙ্গাব্দ
বুধবার।