কেন পাঠাও পুতুল তুমি রঙ্গিন কারাগারে?
পুতুল কেন ফাঁদে পড়ে পাপের হাতে ধরে?
মুক্তি মেলে দেহ যখন,চিরনিদ্রায় হয় ক্ষয়,
তবে কেন পুতুল করে মুক্তি দাতা কে ভয়?
তোমার চালে পুতুল চলে,যন্ত্র কথা বলে,
গড়ে কেন ভাঙো পুতুল একটু পুরনো হলে!?
স্বর্গ-নরক কেন দিলে খেলনার কাঁধে তুলে!?
যন্ত্র কেন বিধিনিষেধ সর্বদা যায় ভুলে!?
উত্তর খুঁজে পায়না যন্ত্র,নিত্য করে ভাবনা,
সর্বজ্ঞানী তুমি প্রভু,কিছুই নয় অজানা।
মুর্তি গড়ো অন্তরালে,অদৃশ্য কারখানায়,
দৃশ্যমান হয় দেহাকৃতি,মর্ত্যের কয়েদখানায়।
যেথায় ইচ্ছে সেথায় পাঠাও,কাঁধে রেখে দেনা,
ভাঙ্গাগড়া তোমার খেলা,যন্ত্র পায় যাতনা!
চালাও বলেই চলে যন্ত্র,খেলাও বলেই খেলে,
পুণ্য এবং পাপের দোলায়,দিবানিশি দোলে।
ত্রিভুবনের মাঝি তুমি,তরী সদা ভাসে,
কাঁদালে যে যন্ত্র কাঁদে,হাসালে যে হাসে!