খড়-ঘাস খেয়ে গরু-ছাগল বাঁচে,
ভাত ছাড়াও অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে বাঁচি।
কারণে অকারণে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে,
অহেতুক বকবক নিজেও করি!
শেয়াল হুক্কা হুয়া ডাকে,
নেশাগ্রস্ত হয়ে ডিজে পার্টিতে আমিও ডাকি!
শেয়াল-কুকুর খাবার নিয়ে ঝগড়া করে,
আমিও করি!
কুকুর হাড্ডি চিবায়,
ক্ষুধা নিবারণ হীন কুখাদ্য আমারও জিহ্বা চায়।
গাঁধা পান করে জল ঘোলা করে,
আমারও কাটে সময় ঘোলা জলে শিকার ধরে!
সাপ ছোবল মারে পায়ে,
মারি আমি মস্তকে-গায়ে!
জোনাক জ্বলে কিন্তু কিছুই পোড়ায় না,
সবকিছু ছারখার করি,কাউকে ছাড়ি না!
কৃষকের খাবার হরণ করে গর্তে রাখে ইঁদুর,
হরণ করি সবকিছু,ইঁদুরের চেয়ে নই কম বাহাদুর!
পশুরা দলবদ্ধ মেলামেশা করে,
আমিও দলবদ্ধ ধর্ষণ করি ঘরে বাহিরে!
বিড়ালের ভয়ে গর্তে থাকে ইঁদুর,
আমিও থাকি প্রতিবাদ হতে হাজার মাইল দূর।
বাঘের অনুপস্থিতিতে শেয়াল বনের রাজা,
সিংহ মূর্তিতে করি দুর্বলকে ভাজা!
কুকুরের লেজ বাঘের সম্মুখে থাকে সোজা,
ওস্তাদদের সম্মুখে থাকে আমারও মাথা গোঁজা।
কাক-শকুন বাতাসে খুঁজে পচা লাশ,
বাসি-পচা কুখাদ্য ভোজন করি বারো মাস।
পশু-পক্ষীর আছে শুধুমাত্র জন্মানোর ব্যাথা-শ্রম,
আমিও রেখেছি যত্ন করে মাতা পিতাকে বৃদ্ধাশ্রম।
পৃথিবীতে যা-কিছু (নিষিদ্ধ) হারাম,
সব কিছুতেই খুঁজে পাই আরাম।
বহুরূপী আচরণের শিক্ষা ওস্তাদরা করেছে দান,
দানের পুঞ্জীভূত শক্তিতে হয়েছি বলীয়ান!
সৃষ্টি রক্ষার্থে রাখি না অবদান,
সদা সর্বদা গাই ধ্বংসের গান!
আমি কি শুধুই মানুষ?নেই কি অন্যকোনো নাম?!
পশু মনোবৃত্তির দিতেই হবে দাম!
বহু গুনে গুণান্বিত,হয়েছি মহান!
নামাঙ্কিত করে নতুন নামে করতেই হবে সম্মান!