এত সুন্দর কেন?স্রষ্টা সাজিয়েছে তাই?তবে এত সাজো কেন?না যদি সাজতে,তবে কি দূর হতে তীর বিদ্ধ করতে পারতে?


দেহ মধ্যে লাগানো থাকে টিপ-কাজল-লিপিষ্টিক; আরও কতকিছু!এগুলো কি একজন সন্ন্যাসীকে ভ্রষ্ট করার জন্য যথেষ্ট নয়!?


তোমার ইচ্ছেটা কি!?স্রষ্টা প্রদত্ত সৌন্দর্যে রঙ লাগিয়ে নিশানা করে কি সুখ পাও!?ভরদুপুরে পরেছিলে কাল;টকটকে লাল শাড়ি!এতদিন জানতাম;লাল শাড়ি পরলে নাকি ভূতে ধরে,যদিও ধরে থাকে;ধরার কথা তোমাকে,লাল শাড়ি পরেছিলে তুমি!তবে আমাকে ধরলো কেন?জ্ঞানহারা হলাম কেন?পেত্নী এত সুন্দর কেন!?


এতদিন করেছ দূর হতে জ্বালাতন!পেত্নীর হাতে তুলে দিয়েছ এখন!ঘুমেও শান্তি নেই!হাত ধরে নিয়ে যায় ভহু দূরের অচীন পুরে,নির্যাতন করে শারীরিক ভাবে!নির্যাতন করে মানসিক ভাবে!কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারিনা!সানন্দে সয়ে যাই,নির্যাতনে পাই স্বর্গীয় সুখ!


ঘুম ভেঙ্গে গেলে পেত্নীকেই খুঁজি!রূপ ধরে ঠিক তোমার মতন!একই প্রতিবিম্ব!কপালে টিপ;রাঙা ঠোঁট;কোকড়ানো চুল;গালে টোল;অধরে কৃষ্ণ তিল;মুক্তার মত দাঁত;নাক-কান-গলা-কেশে গুঁজানো প্রসূনের বাহার;দু-হাত ভরা কঙ্কন,আলতা পরা চরণ যুগলে ঝুমঝুম যুগল পায়েল!লাল টুকটুকে শাড়ি!


ঘুম ভাঙ্গলেই চলে যায়!!