কোনো মধ্যাহ্ন দুপুরের আমি এক রাখাল
    তুমি ভুসিকুড়ানি কোনো মেয়ে
    বৈধ স্বপ্নে অবৈধ প্রেমে ডুবসাঁতারে তুমি আমি;
    মনের মিলন যেথা চিরন্তন,
                 কাছে আসা নৈসর্গিক।


বৃষ্টিবাদল দিনে
    ভেজাগাত্রে কম্পিত তুমি
    শিহরিত আমি উচ্চ কামনার রাগে
    যেমন সন্ধ্যারাগে
                গোধূলিতে মিলিয়ে যাওয়ার শামিল।
    মিল অমিল সেতো শুধু হিসেবের খাতায়,
    অনাবিল সুখে দুজনে ভুল সময়ের প্রেমে মাতোয়ারা।


এক অলেখ্য কোনো রাতে
    ললিতা তোমার সাথে
    জোনাকিবনে জোনাকির আলোয়
               তোমার চাওয়া যেন চাতকীর প্রখর চেতনা
    চোখে মুখে অচেনা আবদারের হিড়িক
    বুকে আলতো স্পর্শের শতাব্দীর কল্লোল
    শুধু সমাজরীতি সৎকারে
               আকাঙ্ক্ষায় তোমার লুটিয়ে পড়ার অপেক্ষা।


ললিতা তুমি আমি
    কোনো কামরূপ কামাক্ষার যোগী যোগিনী
    উত্তাল বাতাসে দেহবিলাসে দেহসাধনায় লিপ্ত;
    সিক্ত বাতাস, রিক্ত আকাশ-
              তবু সাধনায় কোনো তিক্ততা নেই;
   শুধু দেহউদ্দীপ্ততা দুজনকে খেয়ে বসে আছে।


১৯ আগস্ট, ২০১৮


(কাব্যগ্রন্থ- সম্ভাষণ)


কাব্যগ্রন্থ পরিচিতি
("সম্ভাষণ" কাব্যগ্রন্থটির বেশিরভাগ কবিতা সংলাপ নির্ভর, কখনো প্রেমিক-প্রেমিকার, কখনো সন্তানের সাথে পিতামাতার, কখনো অচেনা কারো সাথে)।