স্বাধীনতার মৃত্যু হওয়ার কথা ছিলো না
দূরত্ব বাড়ানোর গল্প কখনো হয়নি
তাহলে কেন ইচ্ছের সমাধি তৈরি হলো?
একটু দূরত্বে। ছিলাম তো। খুব পাশেই তো ছিলাম।
দৃষ্টিতে ধরা দিতে
    তাতেই বাতাস, হাসির রবে মেতে উঠতো,
    সুনীল আকাশ, ভালোবাসা ভালোবাসা খেলতো।
    যৌবন জোয়ার, আসতো নবঘন পত্রপল্লবে।
এর বেশি কিছু চাই নি।
    পাশে থেকে নীরবে থাকবে, থাকো।
    দুদন্ড দেখতে তো পাবো। এই খেয়ালেই ছিলাম।
তবে দেয়াল তুলে দিলে কেন?
    সেই এক বিশাল দেয়াল।
    বার্লিন প্রাচীরের মত নয়
    চীনের প্রাচীরের মতো নয়।
এই প্রাচীর যেন দুর্ভেদ্য
যেনো দুই সাগরের পানি পাশাপাশি বয়ে যাওয়ার পরও
    মিশে যাওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই।
    নেই সোহাগে প্রেম উপরিপাতনের;
    নেই বুকে আগলে ধরার মত কোন ভবিষ্যত।


সেদিন শেষ সম্ভাষণে
    শুধু হা না জবাবে নীলাবতী ফিরে চলে গেলে
    সেদিন আকাশ চূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো
    ভূখণ্ডে ধরেছিলো চিড়
    বজ্রপাত হেনেছিল হানা
    ভেংগেছিল স্বাধীনতার ডানা
আজ আমি বেপরোয়া স্বাধীন থেকেও
    কেন যেন পরাধীন মনে হয়
    আমি যেন এখন জন্মলগ্ন কাশ্মীর, ফিলিস্তিন
    কিংবা পানমুনজাম
অস্তিত্ব থেকেও প্রতিনিয়ত বিলীনের সম্মুখীন।


নীলাবতী, প্রথম তোমার উপস্থিতি
    তোমার স্পর্শ চাহনি
গভীর দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে
    তোমার তিলবাহারী গাল ছুঁয়ে যাওয়া
এখন মাঝ রাতের তারা দেখার কারণ।


২৯ মার্চ, ২০২১


(কাব্যগ্রন্থ-সম্ভাষণ)