সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নীরাকে
            খুব করে কি কাছে পেয়েছিলেন?
আমি জানি না।
কোনো শান্ত বিকেলে
            নীরার সাথে কি মেঠোপথ হেঁটেছিলেন?
আমি তাও জানি না।
তবে আমি জানি
    আমি নীরা রূপে পেয়েছিলাম তোমাকে।
    দৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলানোর সুযোগ দিয়েছিলে!
কিন্তু তাতে পৃথিবী ষড়ঋতু কোনো পরিবর্তন এলো কি?
    আমার বসন্ত কি অনন্ত হলো?


নজরুলও তো নার্গিসের দেখা পেয়েছিলেন।
নার্গিস প্রেমে নজরুল প্রতিটি মূহুর্তগুলো গুনেছেন-
    কখনো ভালোবাসা করে
    কখনো বা কাছে পাওয়ার তীব্র আন্দোলনে;
    কখনো মায়া করে স্বপ্নের বুননে।
সময় গুনেছেন পত্রবাণীতে।
লিখতে চেয়েও অপ্রকাশ থেকে যাওয়া হাজার শব্দে
নীরবে নির্জনে হয়তো প্রেম বুনেছেন।
    সময় গুনে,
    স্বপ্ন শুনে
    প্রেম বুনে,
    তিনি নার্গিসের বুকে কতটুকু ঠাঁই পেয়েছিলেন?
জানি না আমি, নীলাবতী।
    সত্যিই আমি জানিনা।
কিন্তু আমি জানি-
    তুমি আমাকে একপৃথিবী জায়গা করে দিয়েছিলে।
কিন্তু কি হলো তাতে?
মহাকাল তো হার মানলো না?
জীবননান্দ দাশ বনলতা সেনে
            খুঁজে নিয়েছিলেন দুদন্ড ঠাঁই।
    আমিও ঠাঁই নিয়েছিলাম তোমাতে,
            একটা মহাকালকে সাজানোর জন্য।


তবে কেনো তুমি বনলতা সেন রূপে থেকে গেলে না?
কেনো তুমি জয় গোস্বামীর পাগলি হলে না?
    আমি পাগল তোমার সঙ্গে রয়ে যেতাম।
কেনো তুমি আমার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের
    মালবিকার মতো হলে না?
নীলাবতী, তুমি স্তন দিতে,
    আমি জড়িয়ে মাখামাখি করতাম,
তুমি প্রেম দিতে থাকতে,
    আর আমি সর্বভুক প্রেম খেতে থাকতাম।


১৪ এপ্রিল,২০২১


(কাব্যগ্রন্থ-সম্ভাষণ)