(আজকে নাইটের পুত্র আর তার ভৃত্যের পরিচয় অনুবাদ করে দিলাম)


নাইটপুত্রের কোঁকড়ানো চুল সযত্মে পরিপাটিকর
আমার মনে হয় তার বয়স প্রায় কুড়ি বছর       ৮২
দেহ উচ্চতায় সে ছিল মাঝারি আকারের বটে
বেশ শক্তসমর্থ আর ভীষণ রকমের চটপটে।
এর মধ্যেই ফ্ল্যানডার্স, আর্টইস, পিকার্ডের অশ্ব-
আরোহী বাহিনীর অভিযানে নিয়েছে সে অংশ
এবং কোনো রমণীর প্রেম লাভ বাসানার অনুরাগে
কাছে পাওয়ার অনুভব তার হৃদয়মাজারে জাগে।
তার পোশাক পরিচ্ছদে নকশিচিত্রে তৃণভূমি তুলে
ভরে আছে কতক সাদালাল, লালসাদা ফুলে ফুলে ৯০
সারাদিন গান গায় আর গায়, আর বাঁশিতে দেয় স্বর
সে মে মাসের মতো ভীষণ তরতাজা আনন্দমুখর।  
গাউনটা তার ঝুলে খাটো আর হাতা লম্বায় চিলি দেশ
ঘোড়ায় ভালোমতো বসতে জানে এবং চালায়ও বেশ।
সে গান লিখতে পারে এবং গান বাঁধতেও সে বর্ষী
দ্বন্দ্বযুদ্ধে এমনকি নৃত্যেও, লেখার সমান পারদর্শী।


ভালোবাসায় সে তীব্র বিভোর, যেন স্বপ্ননেশায় ধুম
নাইটিংগেল পাখির মতো থেকে যায় সারারাত নির্ঘুম
সে হিতৈষী, বিনয়ী নম্র ভদ্র সর্বগুণসম্পন্ন বলে যাকে,
খাবার টেবিলে আগেই বাবার জন্য খাবার সাজিয়ে রাখে


এই নাইট সাথে বেশি নয়, এনেছে ভৃত্য মাত্র একজন
দেশভ্রমণের জন্য ভৃত্য, তার ইচ্ছে করেছিল পোষণ
চাকরটির পরনে ছিল কোট এবং সবুজ শিরস্ত্রান
তার কোমর বন্ধনীতে সুচারুভাবে পেয়েছিল স্থান
একগুচ্ছ ঝকঝকে তীক্ষ্ণ ময়ূরপুচ্ছযুক্ত বাণে (তীর)
ভৃত্যটি তার জিনিসপত্রের ভালোই যত্ন নিতে জানে
তাই তার তীর হতে ময়ূরপচ্ছ কখনো পড়ে না খসে
এবং এক শক্ত ধনুক ছিল তার হাতের মধ্যে কসে।
মাথার চুল ছোট করে কাটা, মুখ বাদামী বর্ণময়
ভালো করে জানে কিভাবে কাঠের কাজ করতে হয় ১১০
তার হাতের কব্জিতে উজ্জ্বল চামড়ার বন্ধনী আটা
এক পাশে এক তলোয়ার আর একটি ছোট ঢাল বাটা
এবং তার অন্যপাশে খুব সুন্দর কারুকার্য করা
বর্শার মত ধারালো তীক্ষ্ণ বর্মযক্তু এক ছোরা।
খ্রিস্টফারের মেডেল তার বুকে ঝুলানো ছিল সদা
ভৃত্য বহন করছিল একটি শিং, সবুজ সুতোয় বাধা।
আমার মতে ভৃত্যটি একজন খাঁটি অরণ্যচারী
সেখানে ছিল এক সন্ন্যাসিনী, সন্ন্যাসসর্দারী ৷   ১১৮


চলবে...


(পরবর্তী পর্বে সন্ন্যাসিনীর পরিচয় কবিতার আসরে দেওয়া হবে।
সর্বদা আপনাদের আশীর্বাদপ্রার্থী)।


অনুবাদকাল- জুন ২০২০ হতে বর্তমান