কদম গাছের তলে
শুকনো কদমের ডালে বসে আছে
   হাতের উসকো খুসকো আঙুলগুলো
   খেলায় ব্যস্ত কদম ফুলের সাথে
   দৃষ্টি খোলা সীমানায়
ছেড়ে দেওয়ার গরু ছাগলের পালের দিকে।
বয়স খুব বেশি নয় মেয়েটির।


মাসখানে পূর্বে জন্ম নেওয়া বাচ্চাগরুটি নেই;
   উঠে হাম্বা ডাক পাড়ে মেয়েটি
সুরালো হাম্বা ধ্বনি দিতেই
   নিচু জমি থেকে উঠে এলো।
ভ্যা ভ্যা করতে করতে পাশে এসে বসলো
   ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাটি-
তাদের সহোদর থেকে রোগাক্লিষ্ট, নেমতেড়া।
   খুব করে গা ঘেষেই বসে পড়েছে।


সূর্য বেজার। রৌদ্র ভীষণ।
গরু ছাগলে মানুষে
একহাত হাসফাঁস।
বাসা থেকে দৌড়ে পানি এনে
   ভাংগা পইনে (মাটির পানির পাত্র) দিলো
   তারপর এক চিমটি নুন দিয়ে দিল নাড়া।
অতপর এক বিশাল ডাক;
   ধলু, লালু, কালু, ভলু, নীলু
   বাদশা, রাজা, রাণী...


কোনো প্রান্তে এখন কেউ নেই
সবাই মুহূর্তেই কদম গাছের তলে
রাখালী ঘিরে পানি পানের প্রতিযোগিতা করে।


১১ এপ্রিল, ২০১৯


(কাব্যগ্রন্থ- শিশিরের হাসি)