শান্তিবিলাসে কি জুবাইদা না নীলাবতী?
দুজনে থাকলে সংলাপে, জগতের কি ক্ষতি?


বিজয়ী মিছিলে স্বাধীনতার মুক্তমাত্রা
নিরুদ্দেশে দূরত্ব, পথ কিংবা পথযাত্রা
বিলাসীমন কখনো খোঁজে কোনো মানে?
হাঁ, আমার অপবিত্র হৃদয়চিত্ত জানে
প্রেমবিলাস, দেহবিলাস, ইচ্ছেবিলাস;
বলছি তাই, আমি বেখেয়ালি বসন্তমাস!
তাই হাসি হাসি যাই আমি নির্বাসনের দ্বারে-
দুজনেই আড়াল। শূন্যমন পড়ে রয় দরবারে
মুক্তি অমানিশা তোমা ডাকে- ফাঁকে ফাঁকে;
শোনো না কেউ ডাক, বিদীর্ণ পড়ে থাকে-
সংলাপ। জীর্ণ অনুভব। তবু নির্লজ্জ মন
খুঁজে চলে তোমাদের তিল, প্রেম, স্তন;
ভবে মাখামাখি, রাগারাগি, ঘনঘন শ্বাস,
তোমা দুজনের চুম্বনে পুড়ে কামনাবিলাস।
একহাত স্পর্শে নগ্ননাভি, অন্যজনের তিল
জ্বালাতনে মধুমন! ত্রিভবে এত যদি মিল
দুজনে তবে অনুভবে কেন? বাস্তবে নয়
আড়ালে আড়াল থেকে কেন সময়ের ক্ষয়?
গুরুত্ব কমেনি, শুধু বেড়েছে সংলাপ দূরুত্ব
ভালোলাগা ঠিক, কেন তবে অভিমান পুরুত্ব?


কোনোদিন তোমাদের
ভাবনার মিলে দুজনের আসে যদি সম্মতি
কালপুরুষে দিও দেখা জুবাইদা-নীলাবতী,
শ্রাবণ যৌবনে মিশিয়ে পুরোনো সব শ্রান্তি
তিনজনে হব একাকার; সঙ্গমে সংক্রান্তি।


২৭ মে, ২০২১


(কাব্যগ্রন্থ- তোমার জন্য পদ্য নয়, গদ্য লিখেছি)


(কবিতা লেখার জন্য আমার তৈরি শতাধিক কামিনী চরিত্রের মধ্যে অনন্য দুটি চরিত্র জুবাইদা আর নীলাবতী, তাদেরকে পৃথক পৃথক কবিতায় সাজানো হলেও এই কবিতার অজুহাতে তাদের একযোগে আনার চেষ্টা করেছি
নীলাবতীকে নিয়ে-
    নীলাবতী নামে কবিতাসমূহ,
    প্রেমবিলাস কবিতাসমূহ
    ইচ্ছেবিলাস কবিতাসমূহ লিখেছি।
জুবাইদাকে নিয়ে-
    দ্বিপাক্ষিক চুক্তি
    চুক্তিভঙ্গ
    দেহবিলাস ধারাবাহিক কবিতাসমূহ
এবং
দুজনকে নিয়ে লেখা
    সঙ্গম সংক্রান্তি
    রঙ্গম অভিলাষে)।