"হয়তো একদিন নীরবতার শহরে
                ভীষণরকম ভালোবাসা হবে"
তাই           কোলাহলে এই এক অপেক্ষা
                স্বপ্নে খুঁজে চলি দীর্ঘশ্বাস।


স্বপ্নমাঝেও না চেয়ে তুমি এসেছিলে বারবার
অথচ
বাস্তবতায় দুজনের সম্মোহন দুই মেরুপ্রান্তে।
গতরাত স্বপ্নে কাছে এসে
   তাকিয়ে ছিলে একঝাঁক অভিমান নিয়ে
   কিন্তু একটাও বের হয় নি তোমার ওষ্ঠ বেয়ে।
   ওই এক ঝাঁক অভিমানকে রূপ দিয়েছিলে প্রেমে
   ওষ্ঠে জাগিয়েছিলে আকুল আবেদন
   দৃষ্টিতে চাহনিতে ছিল গোধূলি ধ্বংসের কামনা;
   সেখানে এক বিশাল অভিযোগ;
       কাছে আসতে এতো বাধা কেন কবি?
       না বলায় কথায় আর কত চুক্তি হবে?
বুকের শিরা উপশিরার আর্তনাদ কি কানে যায় না?
মনের হাহাকারে কি জাপটে ধরার অনুভব খুঁজে পাওনা?


   বাম হাতের উপর রাখলে তোমার ডান হাত
   যেন শীত সকালের শিশিরে ডুবে গেলাম।
   লজ্জাবতী ঘুমোতে গেলো
   সূর্য বললো, এখনো কুয়াশা কাটানোর সময় হয় নি।
তোমার চোখের দিকে চেয়ে
আমার ওষ্ঠ বড় বেহায়া হয়ে ওঠে
গাল কপালে কিছু ভালোবাসার মানচিত্র একে দিতে চায়
কিন্তু সাহস?
সাহস ভয়ের বাসায় চলে গেছে সাহস ধার করতে।
   শিশির ছুঁয়ে, ছুঁয়ে দিলাম তোমার গাল
   তুমি লজ্জাবতীর মতো চোখ বন্ধ করলে।


খানিকবাদে তুমি চোখ মেলে
   আমার ওষ্ঠে শীতল শিশির স্পর্শে এক দীর্ঘশ্বাস নিলে
   জুবাইদা, এখন আমার বিশাল সাহস
   শিশির স্পর্শে ছুঁয়ে যাই তোমার গলার বিশ্ব
তুমি হাত শক্ত করে ধরে, বুকের সীমানা বাড়িয়ে দিলে
আমি ভালোবাসার শহরে ডুবসাঁতারে এখন ভীষণ ব্যস্ত।


১১ এপ্রিল, ২০২১


(কাব্যগ্রন্থ-সম্ভাষণ)