সেদিন
ভালো থাকার নামে শুধু তৈরী হয়
না বলা এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।


সেদিন নীরবতা ছিল,
    হাসি ছিল
    ভালোলাগা ছিল;
    উচ্চকামনা ছিল;
    শতাব্দীর কথা বাকি ছিল
    দুজন দূরত্বে গিয়ে হৃদয় পুড়ানোর ভয় ছিল;
তবু চুক্তি অনুসারে ব্যবধান কমানোর পথ ছিল না;
    কাছে আসা যাবে নীরবতায়; কোলাহলে নয়
সময়ের গল্পেই ভালোবাসা হবে;
   পূর্বে তৈরিকৃত কৃত্রিম ভালোবাসার পরশ তুমি চাওনা।
    মহাকাল ধরে নয়, কয়েক মুহূর্ত সময়ই চাও
    স্বপ্নে নয়, বাস্তবতায় যেন পাও।
সব হঠাৎ দেখাতেই কথা হবে
    নীরবতায় চাহনিতে; মনের ব্যাকুলতায়।
                         ওষ্ঠধ্বনিত শব্দে নয়।


গল্প হবে স্বাধীনতার
পাখির মতো, মেঘের মতো
শিশিরের মতো, গোধূলির মতো।
আমাদের চাওয়া হবে সময়ের দাবীদারে
                         স্রোতের চেতনায়।
অপ্রেমের এই নিবন্ধিত চুক্তিশেষে
উঠে যাওয়ার পূর্বে তোমার শেষবাক্য ধ্বনিত হয়,
“হয়তো একদিন নীরবতার শহরে
                         ভীষণরকম ভালোবাসা হবে”।


২৩ মার্চ, ২০২১


(কাব্যগ্রন্থ-সম্ভাষণ)