আজ সন্ধ্যায়ও তোমার শূন্যতা অনুভব করেছি।
ইচ্ছে করছিল শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে কিছুটা পথ একসাথে হাঁটি।
ধীর লয়ে হাঁটি, আর গুনগুন করে গেয়ে উঠি-


"তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা, তুমি আমার সাধের সাধনা
মম শূন্যগগনবিহারী
আমি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা
তুমি আমারি, তুমি আমারি
মম অসীমগগনবিহারী
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা, তুমি আমার সাধের সাধনা"


এই আকাশ- এই জোছনা, এই ঝিরিঝিরি বাতাস
এসব কোন কিছুই আমায় টানতে পারেনি,
বরং আমায় বারবার-
তোমার কাছে টেনে নিয়ে গেছে;
তোমার অভাব এতোটাই মনে পড়েছে,
আমি শত চেষ্টাতেও সবার মাঝে থেকেও-
নিজের একাকীত্বতা দূর করতে পারিনি।
আসলে একাকীত্ব শব্দটাই আতঙ্কের!!
রূপকথার ভ্যাম্পায়ারের মত,
একটা প্রাণবন্ত মানুষকে চুপিসারে-
অনুভূতিশূন্য জড়পিন্ডে পরিণত করে।
তাই বেঁচে থাকার জন্য তোমাকে আমার প্রয়োজন-
আমার পাশে ভীষণভাবে তোমাকে চাই।। তোমাকে চাই।।


তোমাকে তাই মোহ বলবো নাকি মায়া এই তর্কে জড়াইনা কখনো।
তোমার আকর্ষণটাই যে অন্যরকম,
অদৃশ্য যে আকর্ষণে লোহা ছুটে যায় চৌম্বকের কাছে,
যে আকর্ষণে জমিনের পানি আসমানে উঠে আসে।
ঠিক তেমনি এক টানে তুমি আমায় সারাক্ষণ টানো, তোমার পানে।।


তাই তোমার পানে আমি হাঁটি-
যতক্ষণ না আমার পথ তোমার গন্তব্য খুঁজে পায়। হাঁটি।
অন্ধকার কি আলো, গোরস্থান কিংবা শ্মশান কেবলই হাঁটি।
অগোছালো শহরের ধুলি মাখা পথ ধরে হাঁটি-
আবর্জনা-নর্দমার গন্ধ এসব কিছু মাড়িয়ে; ক্লান্তিহীন হাঁটি-
তোমার পানে এখন অব্ধি হাঁটছি...


আচ্ছা এখন কোথায় আছে এই তুমিটা, আমার এই তুমিটাই বা কে??
সবাইকি আমার মতন, একজন তুমির অসুখে ভোগে?
কল্পনার তুমিটাকে বাস্তবেতে, প্রায়শই গুলিয়ে ফেলে?
তুমি ছাড়া তোমার অভাব পূরণ করবে, এমন কি আছে এই ধরণীর বুকে!!


তাই ভালো থাকার জন্য সবারই একটা তুমি থাকা দরকার;
ভীষণরকম দরকার!
আজ থাক, আরেকদিন তবে এই তুমির গল্প শোনাবো,
ততদিনে এই তুমিটা ঠিকঠাক গুছিয়ে নেব;
এই তুমিটা ততদিনে ঠিক খুঁজে নেব।।


মানচিত্র
৩০-১২-২২