আমার সামনে কোন সাগর নেই, জোছনা টাও ভরা নয়, কেমন যেন জ্যোতিহীন আধখোয়া একটা চাঁদ, ঘড়ির কাঁটায় রাত ২:১৫, বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে থাকা একলা আমি, আনমনে সেই ক্ষত-বিক্ষত চাঁদটার দিকেই অপলক তাকিয়ে আছি। পূবালী মৃদু-মন্দ বাতাসে কাঁটা দিচ্ছে শরীরের লোম কূপ, কড়ি গাছের কচি পাতা গুলো মাথা নেড়ে ইশারায় কি যেন বলে যাচ্ছে, কোন খেয়াল নেই সেদিকে আমার, ওদের ভাষা আমি বুঝি না। সিগারেটের নিকোটিন ধোঁয়া হয়ে উড়ছে আঙুলের ফাঁকে। মশাদের মনে যেন আজ মহোৎসব, আমাকে পেয়ে প্রচন্ড খুশি ওরা, কোথায় যেন আমাকে উড়িয়ে নিতে চায় ওদের সাথে। বেখেয়ালী মন আমার আজ কবিতার ছন্দ হারা লাইন, এমন নির্ঘুম নিশিতে মন অংক কষে যায় অবিরত। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, কিন্তু ফলাফল শুধুই শূন্য, কোন সূত্রেই মিলাতে পারছি না জীবনের হিসাব। ঝিঁঝিঁ পোকা গুলো বোধ হয় ঘুমিয়ে পড়ল, ব্যাঙ গুলোর ডাক‌ও আর শোনা যাচ্ছে না, শিকারীর তীরে আহত পাখিটাও আর কোন শব্দ করছে না, ঘুমিয়ে গেল নাকি মারা গেল জানিনা, চারিদিকে এখন শুধু শুনশান নীরবতা। আমি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে, ভোরের অপেক্ষায়।