পথে হাঁটছিলাম দ্রুত পায়ে  
থামতে পারিনি,  ছিল ঘরে ফিরার টান    
পথে চলার সখ্যতা,  হঠাৎ থেমে যায় বুক।  
ছাউনির তলে দেখা উসখুস চোলে এক শিশুর  
পাংশু শীতল মুখ।    


নিঃস্বতায় হাড়ের সন্ধির ব্যথা নীয়ে, হিম কালের ঘুমে
ঘুমিয়ে আছে শীতল শূন্য থালা নিয়ে,  কে বা কারা ।
যেন কালের সাক্ষী হয়ে চেয়ে আছে আকাশের
অগণিত এলোমেলো তারা।  


আমি শিহরিত হই ঝুপড়ীর মত ঘর
পাশে বন্য শিয়ালের দল যখন  
মাঝরাতে তুলে বিকট বিদঘুটে শব্দে ক্রন্দন ।    
পাশেই বহুতল বিশাল বিলাস আবাস
চলে রমরমা কারো জন্মদিনের কেক কাটার উৎসব।
  
ভাল লাগেনা এই সব পথে হাটতে, রাস্তা গুলো যেন কেমন    
কাঁতর হয়ে দাড়িয়ে আছে শীতের বাতাসের উপর।  
ছাউনির নীচে যারাই আছে, তাদের আছে জঠর জ্বালা  
হয়তো কারো ভেজা ছেড়া অন্তর্বাস, অসহ্য নগ্ন শীতল সহবাস।    
আছে শুধু না পাওয়ার ব্যথা, জীবনের বাঁচার মত বাঁচার ব্যর্থ প্রয়াস।
অন্ধকারে নিঃশব্দ কান্না বক্ষে বেঁধে
শুধুই নিত্য জমা আছে দীর্ঘ দীর্ঘ নিঃশ্বাস।

মুজাহিদ চৌধুরী। ৪।১।২০১৩
পাল্মারস গ্রিন। লন্ডন