যদিও তুমি কঙ্কাল ছিলে
রৌদ্র দুপুরে নিজুম রাতে তুমি ছিলে সযত্নে  
ঘামে ভেজা রাতেও তুমি ছিলে আমার বুকে  
আমার বুকের প্রতিটি শিরা, প্রতি উপশিরা,  
প্রতিটি হাড়ের মাংসের গাঁথুনি দিয়ে তোমায়  
সুরক্ষিত করেছি বহু দিন, বহু মাস, বহু বৎসর ধরে ।  
কেমন ছিলে এমন দিনে, কত স্পর্ধা ছিল ছিনিয়ে নেয়ার  
প্রথম ভাষা ,পরে নারী, মোর মা বোন স্ত্রী কন্যা
এতই ছিল ধৃষ্টতা ।  
কত রক্ত ঝরা অন্ধকার রাত
কত অমূল্য জীবন এর আত্মদান  
কত নারী হল নৃশংস বিবস্ত্র বিপন্ন  
ছিল মাংস ছেড়ার হোলী খেলা  ।
কেউ কি জানে ?
হয়ত জানে, হয়ত না
কুরুচি আর পৈশাচিকতার শেষ নাভিশ্বাসে  
সেদিন মাটি থেকে
আর্ত চীৎকার শুনে জেগে উঠে ছিল  
আবাল বৃদ্ধ বণিতা ।
সেদিনই ছিল শেষ শপথ
সেই শপথে জন্ম দিলো মুক্তি যুদ্ধ  
জন্ম দিলো মুক্তি যুদ্ধা,জন্ম দিলো বীরাঙ্গনা    
তাদেরই বীরত্বে পাওয়া
এই যে আমার অবিরত রক্তে বওয়া  
আমার শেষ নিঃশ্বাস, আমার শেষ প্রশ্বাস
আমার ধমনীর প্রবাহিত রক্ত বিন্দুর
প্রবাহমান স্বাধীন বাংলাদেশ  ।
মুজাহিদ চৌধুরী । লন্ডন । ১৭।৩।২০১৪