রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ-৫১
Rubaiat of Omar Khayyam Edward Fitzgerld ( 1859)
এর অনুবাদ।(৫১)
The Moving finger writes and,having writ,
Moves on nor all thy piety nor wit.
Shall lure it back to cancel half a line;
Nor all the Tears wash out a word of it.
সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের( 1908) ১৩ টি অনুবাদের সাথে এটা মিলল না।
কান্তি চন্দ্র ঘোষ(1919)এর অনুবাদ নম্বর-৫১
ললাট 'পরে নিয়ৎ দেবীর ভাগ্য লিপির হস্তছাপ,
উঠবে না সে চেষ্টা বৃথা মিথ্যা এ সব মনস্তাপ।
দীর্ঘ -নিশাস উঠুক না হয় কলজে-ফাটা অশ্রুধার ;
ভাগ্যদেবীর হস্তটি না ধরবে লেখন পুনর্বার।
নরেন্দ্র দেব(1926)এর অনুবাদ নম্বর-৭৬
সে অলক্ষ্য হাত তার দুর্নিবার লেখনির মুখে,
অসংখ্য লালাটে নিত্য দৃঢ়চিত্তে অকম্পিত বুকে,
ভাগ্য- লিপি লিখে চলে যায়,
তোমাদের নয়ন ধারায় সে লিখন আজীবন ধৌত যদি হয়,
তবু তার রেখামাত্র মুছিবার নয়।
তোমার সকল - পুণ্য,সর্ব- অনুরোধ, রে অবোধ! ফিরাতে পারেনা কভু আর;
এ কথাটিও জেনো পাল্টি সে লেখে না আবার।
কাজী নজরুল ইসলাম( 1933) এর অনুবাদ নম্বর-২৬
প্রথম থেকেই আছে লেখা অদৃষ্টে তোর যা হবার,
তাঁর সে কলম দিয়ে- যিনি দুঃখে সুখে নির্বিকার।
স্রেফ বোকামি, কান্নাকাটি লড়তে যাওয়া তাঁর সাথে;
বিধির লিখন ললাট - লিপি টলবে না যা জন্মে আর।
ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ(1942)এরবই পাইনি।
সিকান্দর আবুজাফর (1966)এর অনুবাদ নম্বর-৫১
সচল হাতটি লিখেই চলছে বিরাম -বিহীন গতি,
লিখেই চলছে এক থেকে এক সবার ভাগ্য- নথি।
একবার কোনো অদৃষ্ট-লিপি লেখা সমাপ্ত হলে;
সে হাত মোছে না একটি বর্ণ,কারও লাভ কারো ক্ষতি।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় (1971)এর বইয়ের৬১ পাতায়:-
আগলা একটি হাতের লিখন- কী লিখে যায়? যায় না পড়া,
লেখার পরে অদৃশ্য হয়, তোমার হাসি ও মস্করা।
এবং যদি যাঞ্চা করো অর্ধ- পঙক্তি বাদ দিবে কি?
এক জীবনের অশ্রুপাতে একটি বর্ণ মুছবে সখী?
শামসুল আলম সাঈদ(2011)অনুবাদ নম্বর-৫২
সকল কলম আঙ্গুল কেটে তৈরি,আঁকে সত্য কথন,
ভাগ্য বধির ভক্তি রুধির জ্ঞানের অক্ষয় প্রাণের লিখন।
তাঁর এক কূট বিশ্বাসে টুটে হয় না রদ বলের আইনে;
অশ্রুপাতে কালো রাতে ও মোছে না দাগের সমন।
অধ্যাপক আলমগীর জলিল(2013)এর অনুবাদ নম্বর-৭৬
মনুরা মন এই ধরনীর বাস্তবতা রূপক যে তায়,
মুছো কেনো দারিদ্র শোক নিরাশা ও হৃদ্ বেদনায়?
ভাগ্যাগত দেহতরী আয়ুস্কালে কওয়া চাই;তত্
বিধাতার দান ললাট -লিপি মুছতে কারো শক্তি নাই।
পৃথ্বীরাজ সেন (2015)এর অনুবাদ নম্বর-৭৬
সেই অলক্ষ্য হাত কার পূর্ণিমা লেখনি মুখে,
অসংখ্য ললাটে নিত্য আঁকে অহংকৃত বুকে।
হাতগুলি লিখে চলেযায়,
তোমাদের নয়নধারায়;
শেলখানি কি অশ্রুসিক্ত হয়,
তবু তার লেখা বুঝবার নয়।
তোমাদের সকল পুণ্য, ডকল অনুরোধ,হে অবোধ,
ফিরাতে পারেনা কেউ কভু এই কথাটি জেনো,
এটি জগতের সার সত্য কথা।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (2017)এর অনুবাদ নম্বর-৫১
ভাগ্যদেবী লিখেছে রেখে অদৃষ্টে আমার কী আছে,
একটুও পাল্টাবেনা তা, লিখার কলম যে তাঁর কাছে।
যতই করো কান্নাকাটি তিনি থাকেন নির্বিকার;
ললাটলিপি তেমনি রবে কাজ হবে না দীর্ঘশ্বাসে।
মোহাম্মদ আতাউর রহমান এর অনুবাদ নম্বর-৪০
দুনিয়াটা আবার যদি গড়া যেতো নতুন করে,
বন্ধ করা যেতো আবার ভাগ্য লিখন সবার তরে।
ভাগ্যদেবী লিখত তখন নতুন খাতা নতুন ভাবে;
লিখতো মেদের নাম কিংবা কাটত নিজের তরে।
শামসুদ্দীন আহমেদ( 2017) এর অনুবাদ নম্বর-৫১
বান্দা ললাটে নিজ হাতে প্রভু যে লিখন লিখেছেন,
পাপ ও পূণ্য যাই হোক উহা বান্দা তা বহিবেন।
তুমি যদি সখি অঝোর ধারায় ফেলাও চোখের জল;
একটি হরফ মুছবেনা তার ফুটে রবে চিরকাল।
এ্যাঞ্জেল আইচের (২০১৯)অনুবাদ- ৫১
যা লিখেছে ভাগ্যদেবী ইচ্ছামত যুক্তি সার,
যতই কর আরাধনা পাল্টাবে না মতটা তার।
মনস্তাপের কর্ম তো এই বাদবিবাদ হাহুতাশ;
তুষ্টির চেষ্টা যতই কর,ওঠাবে না কলম আর।
সংকলনকাল:-
ঢাকা১১/০৫/১৯
বেলা৩-৪৫
★যারা আমার সাথে ১ হতে ৫০ টি অনুবাদ এতদিন করেছেন
শুধুমাত্র তাঁরাই রুবাইয়াতি ছন্দে( কক খক) অনুবাদ করে পাঠাতে পারেন।অনুবাদ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই আমার ইনবক্সে পাঠাবেন।