এরে কই শান্তার মা-
আমরা গরীব বইল্যা কথা,
কেউ কি আমাগো সরকারী ছাগরী দিবো? নাই লেহা পড়া, নাই  টিইয়া। কি করুম কঔনা তুমি! কঔ!
আমাগো বাপ দাদা হগ্লেই জমিদার বাড়ীর এই কাম হেই কাম কইরা তাগো জীবনডা কাডাইছে।
আমি আর কোন লাডের বাড,
আমি আর ক্যডা।
আমিও দ্যাহ তুমাগো সুহে রাহনের লাইগ্যা-এ বাড়ী হেই  বাড়ীর যহনে যা পাই তাই কইরা দুইলা পয়সা রুজি করি।
এলে কই বক বক কইয়া তুমি আর মাথাডা খাইয়ো না।


তবে হুন সইত্যি এখান কথা কই-
কাইল্যা লক্ষন দা তিনশ টিয়াই দিছে; কিয়েরল্যাই কম দিবো , হেতাগো কি টিয়ার অভাব!
গাছের খাঁড়ি ঠেলতে ঠেলতে আমগো শরীর পাইক্যা উঠছে। গেরামে বিনয় তাঁতি,সুদাম তাঁতি, কমল নাথ হগলের বাড়ি ছাইড়া আইলাম হেগো কিচ্ছু কইলো না।


বাজারে আইয়া রতইন্যা  ধরছে হেরে কধ্যুরা ইরান খাওয়ানের লাইগ্যা। কিরল্যাই কয় তার মার অসুখ হসিটল ভর্তি, হেতের টিয়ার দরকার; টিয়া ভাঙতো না। ওই তেরে একশো টিয়া খাওয়াইলাম। আগেতো বাজারে ইতানে্র দোকান আছলোনা, মাইনসে দশ টিয়ার বাংলা খাইয়া পাগল যেমন অইতো। এখনে হুনছি আইন পাল্টাইছে- বাংলা পাইলে পুলিশে ধরইরা এমন পিডা দেয়। এখন যতো পারো ইংলিশ খাও  সমস্যা কুছতা নাই।


কাইল্যা দেখি  দেবার ভাই অরুইপ্যাই খাইয়া পথের ধরে পইরা রইছে। আরে আমার জানো খুব খারাপ লাগজে। কেরে জানো? হেতে জানে না – বোমি টমি করছে যে; একডা কালা কুত্তা আইছে ! ও মা ! পরে দ্যাহি হেইডাই তার মাথাৎ পেচ্ছাব করে। মানুষ বইল্ল্যা কথা।


ও শান্তার মা- তুমি রাগ কইরো না। এইবার হুনো তুমারে টিয়ার হিসাব দেই ।
মাসের কেরোসিন লইলাম ১০০ টিয়া, মুসরী ডাইল আধা কেজি ৬০ টিয়া, লবণ ১০ টিয়া, কাঁচা লঙ্কা ১০০ গেরাম  ২০ টিয়া, তবে আমার বিড়িডা কিনতে পারছি না  ওই লঔ তোমার ১০ টিয়া।


ক‌ই শান্তার মা তুমি চাও দেহি আমারে- আমিও বুঝি।ইতান খাওয়া  ছাইড়া দিমু আইজ‌ই।
আমরা গরীব; গরীবের কেউ নাই-গরীবের লাই রাম লক্ষন হগলেই সমান।তুমি জানো- বাঁচতে অইলে বুজতেই অইবো!
                         *********