ট্রেন এসে থামলো মুঙ্গীয়াকামী,
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি-
কারো হাতে ছাতি,
আবার কারো হাত খালি মাথায়
বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা।
যাত্রীরা  কেউ কেউ পায়চারী ক‍রছে
প্লেটফর্মে-বিরক্তিকর অবস্থা ক্রসিং-এ দেরী।


আমি তাকিয়ে দেখলাম,
দূরে ল‍্যাম্প পোস্টের নিচে-
এক উপজাতি রমনী,
বাঁশ কড়ুল আর কলা থুর নিয়ে বসে আছে।
কোন ক্রেতা নেই আশেপাশে।


একটি বছর দেড়েক-এর শিশু
মায়ের বুকে লুকিয়ে আছে-
মাতৃ স্নেহের আচ্ছাদনে,
বৃষ্টি বিন্দুর প্রতি কোন ভ্রক্ষেপ নেই।
পাহাড়ী পণ্য বিক্রয় করতেই হবে,
কিছু তেল আর নুনের জন্য।


ট্রেন চলে গেলে শুনশান এলাকা,
কেউ থাকেনা বিনা প্রয়োজনে।
জীবনকে বাঁচি রাখার সংগ্ৰাম,
সেই সংগ্ৰামের শুরু পাহাড়ে বাঁশের বনে
আর শেষ হয় স্টেশনের ল‍্যাম্প পোস্টে নিচে।


***********
তাং: ‌০৬/০৮/২০১৮ ইং
২০ শ্রাবণ,১৪২৫ বাংলা
রাত:৯.২৯
নিজ বাসভবন,ধ‍র্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত