কাঁধ পর্যন্ত ডুবানো অন্ধকারে
না মরার ঔষধের খোঁজে বেরিয়েছি আমি।
চারিদিকে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার,
আমার চোখ দুটি বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছে
নি:শব্দে ডুবানো উঠান থেকে পর্বত শ্রেণী পর্ষন্ত।
কিন্তু ব‍্যতিক্রম ঘটালো দু'একটি ঝিঁঝিঁ পোকা
আর আশিতীত বুড়োর কফ ভর্তি কাশি।
হাতরে পেয়েছিলাম ধুতরা ফলের উলম্ব কাঁটা
আমি প্রায় দৌড়ে তরাই পেড়িয়ে উঠেছি পর্বত শিখরে।
হয়তোবা মাউন্ট এভারেস্ট ও হতে পারে।
কিন্তু ক‌ই, কোথায় আছে না মরার ঔষধ ?
তীব্র কন্টক বন জঙ্গল ভেঙে ফিরে এলাম উপত‍্যকায়
এবার নদীর পাড়ে পাড়ে চাষাবাদের জমি।
অপরিচিত সব ফটক দুয়ার
নব দম্পতির প্রদীপ নেভানো ক্লান্ত শরীর।
যে নদীর কোন নৌ নেই সেতু নেই।
আমাকে সেই নদী পার হতেই হবে
বেঁচে থাকার তাগিদে
লাফিয়ে পড়লাম নদী ডহরে।
লাটিমের  মতো ঘুরপাক খেতে খেতে
আশ্রয় পেলাম নদীর গভীরতম অলক্ষ্য স্থানে।
শরীর যখন ক্লেদাক্ত আর পিচ্ছিল হলো ঠিক তখনই বিশ্বাস হলো-
আমি বেঁচে আছি, পেয়েছি চিরন্তন বেঁচে  থাকার ঔষধ।