তোমার জন্মের দিনে বাতাস বহে চলে হৃদয় ছুঁয়ে
এক ফোঁটা জল চেয়ে-
কাতর চাতক উড়ে আজো আকাশের পানে।
বিকাশের স্রোতে অবাক আমি; তৃপ্ত আমার চোখ
আমার হাতের আঙুল।
পৃথিবীতে প্রথম বারের মতো জীবনের গলি পথে হেঁটেছি
অনিদ্রিত রাতে চৈতন্য রমণে জর্জরিত এক মস্তিষ্ক নিয়ে।
সবাই ভেবেছিলো –
কোনো ঝড় বৃষ্টি উষ্ণতায় ভরা বাতাসে
গলিয়ে দেবে তোমার স্নেহের মাংসল বাহু, আমি হাসলাম!
এই গ্রহকে ভালোবাসার পথে
কিছু বিষন্ন কথা, কিছু অগোছালো হতাশা,
হাতে গুণা কষ্টগুলো তোমার দখলে এলো।


আমি বিধাতার সাথে কথা বলেছি-
যাপন ছাড়া, নির্লিপ্ত; অযথা মায়ায়!
বাতাস বয়ে চলেছে অভিষেক অতিথি।
আজ তোমার জন্ম দিনে-
সন্ধ্যায় পাখিদের নীড়ে ফেরার অনাবিল বন্ধনে
সবুজের ডগায় রঙ্গিন প্রচ্ছদ তোমায় দিলাম।
আজ জন্মোৎসবে জন্ম থেকে জন্মান্তরে
গ্লানি মুছে শুভ হোক তোমার অনাগত দিন।
মৃত্তিকার ধুসর অজস্র স্মৃতি আজ আমাদের
দীর্ঘ যাত্রার হৃদ স্পন্দন যুগল চোখে,
মন দিয়ে কিনেছি অন্ধকারে মনস্তত্ত্ব শেষে
শূন্যতার বুকে অনিবার্য আত্মসমর্পনের দিনে।


কফিশপের বিকেলে মৌসুমি বায়ুর নির্মল স্নিগ্ধতা,
রক্তিম ভোর তোমার নির্ভুলতার পথে সফল পদার্পণ।
এই দিনে জীবন নদে স্মৃতির সমাহিত স্বপ্নে
তোমাকে দেবো মাঝ রাতের চিরচেনা মুক্ত আকাশ,
সচল সৃষ্টিশীলতা হবে অতীত মুছে জাগরণের গান ।
শান্তি জীবন্ত স্বর,শিশির বীথি স্রোতে অন্তহীন ছুটে চলা।
দিগন্ত হীন মাঠে মধ্যরাতের চন্দ্রালোকিত সাদা মেঘ,
জোনাকির ভিড়ে বৃষ্টির রুপালি জল গাঢ় হলুদ ক্ষেত
মনোরম সবুজ আঁচলে রঙিন ফড়িং-
সমুদ্রের ঢেউে ভালোবাসার স্বাদ, জীর্ণতা মুছে স্বপ্ন সহচরী।