ভারতের প্রাণবন্ত ভূমির হৃদয়ে,
যেখানে স্বপ্নেরা থাকে চির সবুজ চিরকাল।
পথপ্রদর্শক এক দল সাহসী মহিলা আলো নিয়ে উঠে আসে মঞ্চে।
সবার জন্য এক দৃষ্টিভঙ্গি; নিজেদের
ক্ষমতায়ন করার অধিকারের দাবি নিয়ে
মাঠে, ঘরে, সমাজের সব জায়গায়
আলোক জ্বালায় তারা ।
হাতের পাঁচ আঙুলের মতো,
পঞ্চ নীতিতে বিশ্বাসী মায়েরা
রাষ্ট্রবাদ ও জাতীয় একতার অগ্রদূত আজ তারা ।
‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও,’
প্রগতির সঙ্গীত, প্রবাহিত করে চলে প্রতিদিন,
শহর থেকে গ্রাম গ্রামান্তরে।
নারী শক্তি, অদম্য শক্তি,
এই দেশে, সমান সুযোগ পেতে হবে যে সবার।
সুশাসনের  আঙিনায়,
বিকাশের সূর্যোদয় নিশ্চিত করে আমাদের মাতৃশক্তি ।
অমানিশার অন্ধকারে গণতন্ত্রের রক্ষা করে  
তারা প্রতিরাত জেগে ।
ভারত ভাগ্য বিধাতা শোষণমুক্ত ঐক্য আর চাই সমতা-
আনলো আমাদের মায়েরা।
মূল্য আধারিত রাজনীতিতে গরিয়সী যারা,
তারা তো এই দেশেরই বিদুষী নারী ।
কোটি শহীদের রক্তে রাঙানো ভারতবর্ষের মা;
হয়তো সে সাবেত্রী, সীতা, অহল্যা নয়তো অনসূয়াদের মতো কেউ।
তুমি চির বিজয়িনী দেবী মা,
মুছে ফেলো নয়নের জল।
কাল বৈশাখীর ঝড়ে-
ভাঙে না যেন তোমার ছোট্ট কুঁড়ে ঘর ।
উত্তাল তরঙ্গ ভরা মহা সমুদ্রে
তুমি নাবিকের কম্পাস,
আমার জন্ম ভূমি ভারতে
তোমরা যেন সহস্র তারকার বন্যা।
আলোকিত করে থাকো চিরকাল
এই দেশ , সভ্যতা আর-
ইতিহাসে অনুল্লেখিত প্রতিটি বিন্ধু।
তাইতো তোমাদের মুখে বিশ্ববাসী প্রতিদিন শুনে
মহাজীবনের মহামন্ত্র-
“বন্দেমাতরম, ভারত মাতা কি জয়!
বলো সবে; ভারত মাতা কি- জয়! ”