ছন্নছাড়া হয়ে পার্থিব এই চরাচরে হাঁটি
বিষাদ থেকে নিষাদ— আমায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে।
অজ্ঞান করা পারিপার্শ্বিক, আমায় বোকা বানায়
ঐ–দিন কালো কাপড় পরিহিত এক কুহকী দেখলাম
কি জানি; এই জাতি কিইবা এমন,
দ্বিতীয় বার চোখ তুলতে, হায়— সাহস হয়নি!
ভুল করে এই সড়ক কেও পারি জামায় না।
আচ্ছা, আমি কি সেই হতভাগ্য
যার ললাটে পথের শেষ জীর্ণশীর্ণ পাতা হাসে?
লোকে-লোকালয় সরগরম থাকুক।
আমার পথ নিরবচ্ছিন্ন একা যেমন নিশীথ
ভোর হবে বলে আজও প্রদীপ জ্বলে রাস্তার মোড়ে।
দাঁড়িয়ে থাকা বনস্পতি অগণিত তারার প্রেমে বিবোড়
অকস্মাৎ গর্জন, শুরু বর্ষন, আহা কি ক্রন্দন!
স্নিগ্ধতা ফুরিয়েছে? প্রেমের দূরধমনিয় জোয়ার।
কত উন্মাদ খুঁজে গুলিয়ে ফেলা গন্তব্য
মগজে অস্পষ্ট লাগে!
ঠাহর হয়না, তাই ফেরাও হয়না
দেখা হয়নি, বসা হয়নি, ভালোবাসি বলা হয়নি।
হুচট করে সামলে নিয়ে অবিরাম
মনে হঠাৎ ভালো লাগা!
এই কনকনে হিমেল শীতেও বুকে উষ্ণতা অনুভব
এই পথ বোধহয় শেষ হলো এবার।
জগৎ কি তাহলে গ্রহণ করলো ছন্নছাড়া’কে
নাহ, এই উদ্ভট মিথ– মাথা ভর্তি পোকা
ওরা শস্যের ক্ষেতে আগুন জ্বালায় দাও-দাও
সুখের আবেশে কাছে এসে ঘোর লাগায় পিছিয়ে পড়ার
ভয়ানক সুন্দর, ভয়ানক সুন্দর!
মাঝেমধ্যে ঝোপজঙ্গল হাতড়ে বেড়াই কাঁটার খুঁজে
কারণ, সবাই বলে দুঃখেই নাকি প্রকৃত সুখ!
কই আজও সুখে-দুঃখ বা দুঃখে-সুখ তো মিলে নি!
আমি ছন্নছাড়া
আন্তপান্ত ক্লান্ত হাওয়া
বদন হতে পারলাম কই আর? আপন দুলাল হয়ে লিখি
যা মন চায় করি, ভাবি— এতে আর কি এমন!
এই ধুলিমাখা দীর্ঘজটে খ্যাপা
খামাকা মায়া চাদরে জড়ানো লীলা
আমায় স্বাগত জানায়নি কেন?