কারণে অকারণে গলির মুখে বখাটেদের খিস্তি খেউর
নিষ্পাপ তনুদের আত্ম উৎসর্গ ...
প্রতিটি স্বপ্নের তৈলচিত্রের বিমূৰ্ত অপমৃত্যু ।


হাসপাতালে জলসানো শরীরে মাধুবি
যন্ত্রনাকাতর পরে থাকে অবশিষ্ট জীবন
আর নপুংশকদের কুৎসিত আনন্দ উৎসব ।


প্রাতঃরাশে সিন্গ্ধ শিশিরে পা ভেজানো অনিমারানীরা
প্রতিনিয়ত ফেরেন লাশ হয়ে ।
শত অভাব অনটন, টানাপোড়েনের মাঝেও
সততা ও  নীতিবোধ নিয়ে বাঁচে থাকা লতিফ মাস্টারের,
কষ্টে জমানো মূলধন চুরি হয়ে যায়,
ঝকঝকে দিনের আলোয় ।
অশ্রু চোঁখে বাড়ি ফেরে...
নির্বাক স্বদেশ ।


কারাগার ও অন্ধ প্রকোষ্ঠকে নিরুপায় ভালবেসে কেটে যায় ২৪ বছর হামিদের ।
নিরপরাধ হামিদের নির্বোধ বানিয়ে, দিব্যি হেঁসে বেড়ায় জল্লাদের দল ।
বিনে চিকিৎসায় মরে যায় আক্তারুজামান ।
নিরাপদ সড়ক আর স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায় ইলিয়াস ।
একজন শ্রমিক, কামালের হাত কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
কামালের যে হাত সচল রাখতো সংসারের চাকা ও অর্থনীতি
যে হাত আদর করতো অবুঝ শিশুকে,
যে হাত আলতো করে স্পর্শ করতো প্রিয়তমার চিবুক ।
কামাল কিংবা হামিদের স্বপ্ন গুলো এখন শব দাহের
মতোই ভস্মিভুত ।
এতটা বছর পেরিয়ে, বৃত্তের ভিতর
কাকতাড়ুয়া হয়ে হাটছে স্বদেশের শব ।