মাহবুব তারেক
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, এডমন্টন, কানাডা ।
প্রিয়তমা তোমার জন্যে
সমস্ত অবিশ্বাস গুলোকে ফায়ারিং স্কোয়াডে রেখে
ফিরিয়ে এনেছি অফুরন্ত বিশ্বাস।
প্রিয়তমা, তোমাকে দেখা মাত্রই জলপাই রঙের ট্যাংক গুলো বদলে যাবে এখন থেকে, আর কখনোই ছুড়বে না বারুদ,
তার বদলে অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিবে শহর, নগর ও গ্রামের প্রতিটি জনপদে।
সেনা বাহিনীর প্রতিটি বন্দুক হয়ে উঠবে এক একটি ভায়োলিন।
প্রিয়তমা, তোমার চোখের সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি ব্যবচ্ছেদ করে দিবে কৃতিম হৃদয়ের জাদুকরী মায়ার জাল।
ফিরে পাবে প্রাকৃতজনের সাঁওতালি প্রেম ও আদিবাসী গ্রাম।
প্রিয়তমা তোমারই জন্যে, ভেঙে পরা নতজানু মানুষ,
স্পর্ধা নিয়ে ফিরে পায় বেঁচে থাকার সাহসী গান ।
প্রিয়তমা, তোমাকে দেখে থমকে যাবে
চলন্ত বাসের গোঙানি, ট্রেনের বিরক্তিকর হুইসেল,
নাগরিক কোলাহল, ত্রাস ও ভয়ের অভয়ারণ্য,
গাছের পাতা ঝরা দুপুর।
প্রিয়তমা তোমারই জন্যে,
প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কে বেঁজে উঠবে রবীন্দ্র সংগীত,
রবি শঙ্করের সেতারে ঝংকার,
জাকির হোসেনের তবলা অদ্ভুত নেচে উঠে,
বিসমিল্লাহ খাঁর সানাই অন্তরের মাধুরী ঢেলে রাগ কাফি বাজিয়ে মুগ্ধ করে দেয় পূর্ব ও পশ্চিম।
প্রিয়তমা তোমার জন্যে,
উত্তপ্ত বাতাসের ক্রমাগত আস্ফালন থেমে যাবে,
রেখে যাবে শীতল দখিনা হাওয়ার শান্ত আদর,
শরতের স্নিগ্ধ শিশির ভোর।
প্রিয়তমা তোমার জন্যে,
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল,
সুজলা -সুফলা -শস্য - শ্যামলা আমার এই মাতৃভূমি,
বিকেলের রোদ ভালোবেসে কাছে টেনে নেবে সবুজ ফসলের মাঠ ও নরম মাটি।