১৯৯৫, December


একাকিত্বের কোনো এক সন্ধ্যেয় তুমি এসেছিলে•••• জোছনার নরম আলো আলতো করে পরেছিল বারান্দায় স্মিত হাসি লেগেছিলো তোমার ঠোঁটে।
সেই প্রথম তোমাকে দেখা••• রাজকন্যা।
দোতালা বাড়ির ছাদটা তোমার ভীষণ প্রিয় ছিল•••
অসংখ্য পড়ন্ত বিকেল কিংবা জোছনায় আমরা ভেসে ছিলাম
তোমার মায়া ছুঁয়ে ছিল আমার কষ্টকে •••
আমার কষ্ট গ্রাস করেছিল তোমার জীবনের অলিগলি, নগর ও বন্দর।
তোমার নিশ্চই মনে থাকবে ••••


জ্বলমলে অগ্রহায়ণের কোনো একদিন
আমরা একটা দ্বীপে গিয়েছিলাম


তুমি আর আমি ছাড়া আর ছিল দুটো প্রাণী
প্রজাপতি ও ফড়িং •••
প্রজাপতির মতোই উচ্ছ্বসিত তুমি
আমার হাতে রেখে হাত বলেছিলে “ভালোবাসি”। অনেকটা সময় আমরা হেটেছিলাম।
পড়ন্ত বিকেলে তোমার বাড়ি ফেরা
সন্ধ্যেয় আমার অবগাহন ••••
তারপর•••• ,
স্বপ্ন ছোঁয়া শহরের ব্যাস্ততায়
আমার ছুঁটে চলা অবিরাম •••
তোমার সাথে আরো একবার দেখা হয়েছিল
নিঃশব্ধ শিশিরের মতো শরতের ঘ্রানে ••
সারাটা বেলা কাটিয়েছিলাম তোমার শরীরের গন্ধ শুঁকে শুঁকে।
আমি ছুঁয়ে ছিলাম তোমার নরম নদী ও সবুজ ঘাস।
তুমি ছুঁয়েছিলে আমার হৃদস্পন্দন।
   তারপর ••••
তুমি ফিরে গেলে।।
পরে থাকে শুধু নিস্তব্ধতার হাজার বছর।
আমাদের আর দেখা হয়নি
রাজকন্যা••••
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে  হরপ্পার কাছাকাছি
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে  তিতাসের কাছাকাছি
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে অর্ধ শতাব্দী।


বিশ্বাস করো রাজকন্যা ,
এখনো আমি সেই দ্বীপে যাই,
কিছুক্ষন বসে থাকি•••
খুঁজি সেই প্রজাপতি ও ঘাস ফড়িং
খুঁজি   স্নিগ্ধ   তোমার সেই হাসি
আর সেই শব্দটি “ভালোবাসি”


কোথায় হারালে তুমি?


ভালো থেকো রাজকন্যা ••••••