একুশ বাঙ্গালী জাতিসত্তার জাগরণ।
বাঙ্গালী গর্জে উঠল স্বাধীনতার চেতনায়,
অতঃপর ভাষার সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতার অভ্যূদয়
বাঙ্গালীর ঐতিহাসিক অর্জন,
মাতৃভাষাকে যারা দিতে চেয়েছিল নির্বাসন,
তাদের বিরুদ্ধে একুশ ছিল
বাঙ্গালী চেতনার দীপ্ত মশাল।
রফিক সালাম জব্বার বরকত তোমাদের মত শহীদের আত্নাহুতি
বাঙ্গালীর জীবনে সঞ্চারিত হয় স্বাধীনতার অদম্য শক্তি।
শিমুল পলাশ কৃষ্ণচুড়া ফুটেছিল রমনার বাগিচায়
ফুল আর জমাট রক্তের আচ্ছাদনে রাজপথ ছেয়ে যায়।
নিদ হারা শোকাতুর মায়ের আর্তনাদে বুক ফেটে যায়
খোকা ফিরবে বলে আমৃত্যু থাকে প্রতীক্ষায়।
পুত্র শোকে কাতর বৃদ্ধপিতার হাহাকার
পিতার বুকে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের সঞ্চার।
কত গৃহবধু স্বামীর জন্য থাকবেনা দুয়ারে দাঁড়িয়ে
মৃত্যুর মাঝে কত তরুনের স্বপ্ন গিয়েছে হারিয়ে
বাংলার দুঃখিনী মায়ের দুঃখিনী বর্ণমালার জন্য
ওরা সেদিন  দিয়েছিল প্রাণ।
ওরা আমার বাংলার দামাল  সূর্যসন্তান।
বাঙ্গালীর ভাষার দাবি মেনে নিতে
বাধ্য হয়েছিল জালিম সরকার।
বিংশ শতকে ২১শে ফেব্রুয়ারীতে
অলংকৃত হল বিশ্বভাষার দরবার।