আজি বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে
রক্তাক্ত হৃদয় চলে যায় সুদূর অতীতে।


নয় মাস বাংলার সবুজ শ্যামল প্রান্তরে
জান বাজি রেখে মুক্তি ফৌজ যুদ্ধ করে।
যুদ্ধের রসদে ভরা শত্রুর কনভয়,
ডরে না বাঙ্গালী বীর,হৃদয়ে জয়ের আত্মপ্রত্যয়
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রচিত হয় কালো অধ্যায়
পাকিস্তান বাহিনী নিরপরাধ বাঙ্গালীর বুকে গুলি চালায়।
এত রক্ত, এত লাশের সারি,
জেগেছে বীর বাঙ্গালী, এবার গোলামির দলিল ছিঁড়ি
শাণিত দ্রোহের দুর্দান্ত দেশ মাতৃকার টানে,
নিজেদের সঁপে দেয় মুক্তির রণাঙ্গনে,
রক্তের সাগরে তাদের আত্মবিসর্জনে
বীরাঙ্গনা অধ্যায় রচিত হয় নারীর আত্মকহনে,
যশোর রোডে নিঃস্ব অসহায় শরণার্থীদের ঢল,
হেমন্তের রাতে বাঁশ ঝোপের আড়ালে গেরিলাবাহিনীর দল,
অস্ত্র হাতে তারা শত্রুর প্রতিক্ষায়,
মুক্তির বারতা আজি শিরায় শিরায়
রক্ত পিপাসু হায়নাদের হত্যা যজ্ঞ চলে নিত্য
রক্ত দিয়ে বাঙ্গালী লিখে মুক্তির চরমপত্র।
অতঃপর বাংলার আকাশে স্বাধীনতার সুর্য কিরণ ছড়ায়
কত দুর্দিন পার হয়ে বাঙ্গালী পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তি পায়।


এত বছর পর কিছু প্রশ্ন থেকে যায়,
স্বাধিকার এসেছে কি সত্যি এ বাংলায়,
ক্ষমতার পালা বদলে সবাই কালো টাকার পাহাড় জমায়,
এখনও নিঃস্ব রিক্ত শোষিত জনগন বড় অসহায়
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে অনাহারে দিন যায়
আইনের পোষাক পরে চলে গোপন চাঁদাবাজি।
ব্যাংকের টাকা সাফাই লুটেরার হাতের কারসাজি
জবান হয়েছে বাক রুদ্ধ, কলম গিয়েছে থেমে,
কাপুরুষের মত বেঁচে থাকা, নয়ত এ জীবনের মানে
রক্ত দিয়ে কেনা মুক্তিতে, পেয়েছি প্রবঞ্চনা
ঐক্যহীন বিশৃঙ্খলায় দিক্ হারা আজি বাঙ্গালীয়ানা।