আল্লাহ র তরে করিতে পারিতেন জান কোরবান।
রাসুলের(সাঃ)বানীতে গাইতেন জীবনের জয়গান।
ধুলায় বসিয়া অর্ধেক পৃথিবী করেছেন শাসন
না ছিল প্রাসাদ না  ছিল সিংহাসন।
মরুর বুকে তার ছিল খেজুর পাতার  ঘর,
তিনি ছিলেন দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর।


সত্য ও ন্যায়ের  অকুতোভয় শাসক।


অবহেলিত ও নির্যাতিতদের তিনি ছিলেন সেবক।
খলিফা হইয়া ছদ্মবেশে ঘুরিতেন দ্বারে দ্বারে,
মানব দুঃখে কাঁদিয়া ফিরিতেন ফোরাতের তীরে ,
একটা প্রাণ ও এখানে যদি থাকে অনাহারে,
রোজকিয়ামতে কি দিব জবাব  আল্লাহ র তরে।
দুর্ভিক্ষ আসিল একবার তার শাসনামলে,
শুকনো রুটি ছাড়া আর কিছু জুটতো না কারো কপালে।
শাসক হইয়া শুকনো রুটিতে তিনিও করিতেন আহার
যতদিন আসেনি সেথায় খাদ্যের সমাহার।
আল্লাহর আদেশে ন্যায়ের তরবারি রাখিতেন করিয়া যতন।
সেসময় হয় ওমরের কাছে রোম ও পারস্য সাম্রাজ্যর পতন।


অবশেষে করিলেন তিনি জেরুজালেম বিজয়
পাদ্রী সাহেব তার কাছে মানিলেন পরাজয়।
খলিফার কাছে তার ছিল একটাই দাবী,
ওমরের হাতে দিবেন তিনি দূর্গের চাবি।
অতঃপর আসিলেন ওমর(রাঃ)জেরুজালেম শহরে
একজন ভৃত্য সাথে লয়ে উটের বাহনে চড়ে
তপ্ত মরুপথ পারি দেন উটের পিঠে বসি,
কিছু পথ পার হয়ে ভৃত্যকে বসিয়ে তিনি ধরিতেন রশি।
সাম্যবাদের সহবস্থান দেখিল পূর্ণশশী।
গির্জার ভিতর খলিফা পাদ্রীর সাথে আলোচনায় বসি
সেথায় যোহরের নামাজের সময় হয়,
বিগলিত পাদ্রী নামাজ পড়িতে বলেন গির্জায়,
বিনয়ের সাথে প্রস্তাব করিলেন প্রত্যাখান।
         পাদ্রীকে বলিলেন,
ইহা তোমার ধর্মের পবিত্র স্থান।
আজ যদি আমি গির্জার ভিতর নামাজ আদায় করি
কাল থেকে সব গির্জা মসজিদে যাবে ভরি,
এমনি করিয়া সব ধর্মের মানুষকে করিতে সন্মান
আমি মুসলিম, এই শিক্ষা দিয়েছে আমায় ইসলাম।