যুগ যুগান্তরের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়,
জাতি নিধনে ব্যবহার হয় দুটি জঘন্য মারনাস্ত্র,
গনহারে নারী ধর্ষন ও হত্যা যজ্ঞ।
১৯৭১সালে বাংলার নারীও বরন করে এই দুর্ভাগ্য।
            বলেছিল নিয়াজী শয়তান,
পয়দা কর সাচ্চা মুসলমান,
লোভাতুর হায়নাগুলো জঘন্য কাজটিও করেছে সম্পাদন।
মানবের মুখোশধারী ওদের ছিলনা ধর্ম ছিল না ঈমান
পাশবিকতার পর পিটিয়ে করা হত রক্তাক্ত,
তৃষ্ণার্তদের কপালে পানির বদলে মুত্র জুটত
জাতি হিসেবে পৃথিবীতে এত নারীর ক্ষয়,
আর কখনও কোথাও হয়নি নিশ্চয়।


ক্যাম্পে জীব মৃত লাশ হয়ে থাকত তারা,
নির্যাতিত লাঞ্চিত হয়ে পাগলপারা ।


হাতে পায়ে পরান হত লোহার বেড়ী,
পালানোর পথ রুদ্ধ করে বসাত প্রহরী।
দিনগুলি ছিল তাদের বিভীষিকাময়,
তাদের বিবর্ন মুখের আর্তনাদে হল স্বাধীনতার অভ্যুদয়।
অথচ বীরাঙ্গনা বাঙ্গালী জাতির অনুচ্চারিত অধ্যায়।