সকলের জীবনে সোনালী সকাল বয়ে
আনে না সূর্যোদয়,
কারো কারো জীবন অনিশ্চিত অন্ধকারে
ছেয়ে রয়।
কপাটবিহীন মর্গের ভিতর ঘুমিয়ে আছে।
কোনদিন আর জাগিবেনা সে।
এ এক অভাগী নারীর গল্পকথা।
জীবনভর সয়েছে কত দুঃখ ব্যথা।
পৃথিবীর পরে কেউ খোঁজ রাখেনি তার,
মৃত্যু এসে নিয়ে গেল তার জীবনের দায়ভার।
অপরাজিতা ফুলের মত দেহখানা নীল হয়ে
আছে বিষে,
হারিয়ে গিয়েছে অন্ধকারের নিরুদ্দেশে।
কুয়াশার আস্তর ঠেলে চাঁদ উঠেছে আকাশের গায়,
নারিকেল পাতার ফাঁকে জোৎস্না ঝরে মৃত্তিকায়।
শিশিরের জলে সোঁদা মাটি গন্ধ ছড়ায়,
কত স্বপ্ন দেখেছিল সে নরম কায়ায়।
যৌতুকের বলি তে আহত হয়েছে বহুবার,
বুকের গভীরে বেদনার দরিয়া উথলিছে অনিবার।
আঁখির পাতার ঘোলাজলে অঙ্গ ভিজায়,
সুখ তার মরীচিকার মত থাকে দুরাশায়।
সীমাহীন ক্লান্তিমাখা হাড্ডিসার দেহখানায়,
কত দিন কত রাত অভুক্ত থেকে যায়।
অবশেষে তার মরবার হল সময়,
পাষণ্ড স্বামীর হাতে বিষ করিল পান,
তারাখসা রাত্রিতে হল কক্ষবিচ্যুত নক্ষত্রের পতন।