বাঘের ভয়ে কাঁপছো তুমি মানুষ!
বলি; বাঘ তোমাকে কামড়েছে কোন কালে?
অথচ! মানুষ রূপী বাঘের থাবা
নিত্য তোমার পড়ছে ঘাড়ে-গালে।


বাঘের বাড়ি বন জঙ্গলে, ওখানে খায় ঘুমায়
আর মানুষ!
বাঘের মুখের খাবার লুটতে সেই জঙলেই যায়।
বাঘের খাবার লোটে মানুষ, মানুষেরও লোটে
মানুষই হয় মানুষ খেকো, বাঘ সে তো নয় মোটে।
তবুও দায় বুনো বাঘের চার ইঞ্চি কপালে।
বাঘের ভয়ে কাঁপছো তুমি মানুষ!
বলি; বাঘ তোমাকে কামড়েছে কোন কালে?


বাঘের কাছে বাঘ নিরাপদ, থাকছে মিলেমিশে
কিন্ত মানুষ!
সবল মারে দূর্বলেরে পায়ের তলায় পিষে।
রাত্রি হলে দরজা আটো শক্ত পোক্ত করে
জংলা বাঘের ভয়ে নয় সে, মানুষ বাঘের ডরে।
মিছেই মানুষ বাঘের ডরে লুকিয়ে রয় আবডালে।
বাঘের ভয়ে কাঁপছো তুমি মানুষ!
বলি; বাঘ তোমাকে কামড়েছে কোন কালে?


গাঁয়ে এসে মানুষ খুঁজে বাঘ করেনা তাড়া
আর মানুষ!
ঠুনকো লোভেই করবে তোমায় বসত ভিটে ছাড়া।
মানুষ বাঘই পশু বাঘের অধিক হিংস্রতর
সেই মানুষই স্বজন ভেবে নিজ লোকালয় গড়।
মিছে মানুষ বাঘেই ভীত সেকালে-একালে।
বাঘের ভয়ে কাঁপছো তুমি মানুষ!
বলি, বাঘ তোমাকে কামড়েছে কোন কালে?


বাবার সামনে মেয়ের সম্ভ্রম লুন্ঠিত হয় কত!
কারা করে?
দেখতে তারা হাত-পা ওয়ালা মানুষেরই মত
চোখ আছে তার, মুখ আছে তার, কান আছে সে শোনে
মানুষেরই শরীর, শুধু পশুর সভাব মনে।
তবু তুমি দিব্যি আছো, বাঁচো হেসে খেলে।
বাঘের ভয়ে কাঁপছো তুমি মানুষ!
বলি; বাঘ তোমাকে কামড়েছে কোন কালে?


           ---:সমাপ্ত :---