সেই ঘন জঙ্গলে বড় বড় বনস্পতির মাঝে
সূর্যের রশ্মি পড়ে টেরা মেরা হয়ে -
রাতে চাঁদের আলোতে পুরো বনানী আলোকিত
প্রকৃতির অমোঘ শোভায়-সমস্ত জঙ্গল পরিব্যাপ্ত
জীবজন্তুদের আনা-গোনায় জীবনের হালচাল  
অরণ্যের পাশে এক বিরাট উঁচু পাহাড়
মাথা তুলে দাঁড়িয়ে
তারি কোলে নীল নদী বেয়ে চলে আপন গতিতে
শুকনির দল নীল আকাশের মাঝে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে
কখন বসে তারা বিরাট বিরাট উঁচু বৃক্ষের ডালে
ক্ষুদার জ্বালায় নেমে আসে নিচে – মৃত পশুর গলিত মাংসের খোঁজে
একটি মা শুকনি উড়তে উড়তে এল পাহাড়ের চটিতে
তার নিজ আলয়ে অপেক্ষারত শাবক শিশুর কাছে
মা তার মুখ থেকে ছোট ছোট মাংসের টুকরো দিল শাবকরে
আবার উড়ে গেল বনানীর মাঝে আহারের সন্ধানে
জীবনের চক্র চলে প্রতি নিয়ত এই ভাবে-
মা তার শাবকে লালন পালন করে- অতি যত্নের সাথে
জীবন সংঘর্ষে মা দৈনন্দিন
শুকুনি, শেয়াল, বাঘ প্রভৃতি জানোয়ারে সাথে
কত লড়াই ঝগড়া করে মাংস জোগার করে
হঠাত একদিন মা আর বাসায় ফেরে না-
শাবক ক্ষুদায় কাতর
মা শুকনি মরা শিয়ালের গলিত মাংস খেয়ে
জংগলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
সেই শুকুনির মরা মাস খেয়ে কত কুকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল
সেই কুকুরের মাংস শত শত শুকনি খেয়ে প্রাণ হারাল
কিন্তু তোমরা কী জান আজ শুকনি বিলুপ্তের পথে-
তার কারণ আমরা
আমরা তাদের পথের কাঁটা তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী
আমরা যে ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার করি মরা ছাগলের দেহে
শিয়াল মারা যায় ওই বিষাক্ত মাংস খেয়ে
শিয়াল খেয়ে মরে শত শত শকুনি
তোমরা কী জান এই শুকনি প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে
পচাগলিত মরা মাস খেয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে
রেবিসের মত রোগ প্রসার থেকে রোধ করে-
এই ভাবে দেশের ইকোনোমিককে রক্ষা করে
কি হবে আর ওসব কথা বলে-আমরাই দায়ী
ক্ষুদার জ্বালায় শকুন শাবাক –
পাহাড়ের সেই ছোট্ট বাসায়
জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে
হলনা তার প্রকৃতির মাঝে ডানা মেলার