অগ্নি আমাকে পোড়াও প্রিয়কর স্পর্শে
জনহীন শ্মশানের উর্বর মৃত্তিকায়
নীল সিন্ধু তীরে গৃহত্যাগী জোছনার আলোয়
মৃত্যু যখন প্রেম ছাড়া কিছু নয়।
ভালোবাসা যখন জন্ম অন্ধ অভিশাপ
অনন্তের সূর্যোদয়ের প্রসন্নতায় আমাকে পোড়াও।


যে শহরে স্বাধীনতা,কবি ও কবিতা কিছু নেই
রাজপথে মিছিল নেই দপ দপ জ্বলে না আগুন।
যে নগরে শুধু স্বার্থের গন্ধ ভাসে বাতাসে
দুঃখ পোষা মেয়ে ভুলে যায় মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য।
যখন জানতে পারি ভালোবাসার পৃথিবীতে
দুঃখ ছাড়া আর কিছু চাষ হবে না
তখন দীর্ঘশ্বাসে আমাকে পোড়াও শুদ্ধ কর।


একুশের জঘন্য সংকলের অভাবহীন শহরে
আমি আর ভালোবাসার গেরিলা ছন্দ কিনব না।
আমি আর ভেঙ্গে চুরে কাউকে ভালোবাসব না
বাষ্পরুদ্ধ অগ্নি আমাকে পোড়াও ক্লান্তির রুমালে।


যখন অপকর্মে বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানি নিবর
শোষাণত্রাসের বিকৃত সভ্যতার রাষ্ট্রযন্ত্রের মাঝে।
যখন জোছনা আলোহীন বিবস্ত্র নিরানন্দ স্টেশন
ভালোবাসা যখন অশ্লীল সভ্যতার নিবর শ্লোগান।
বিদ্রোহীর কণ্ঠহীন অভিশপ্ত কাঙ্গাল নগরে
সেই অসভ্য লোকালয়ে অগ্নি আমাকে  পোড়াও ।


যে নগরে নদী নেই প্রেম যেখানে যাযাবর
দগ্ধ ভগ্ন পুরানো বাতিল পথ
ক্ষত বিক্ষত অসহ্য যন্ত্রণা অসমাপ্ত রাত
পোড়াও আমায় প্রিয়কর স্পর্শে সোনালী প্রভাত।