সুতীব্র সবুজ নীল অন্ধকার ব্যর্থ সময়
তাচ্ছিল্যের প্রবল আগুনে অবেক্ত প্রেমপত্র
ত্বকে জমে যাচ্ছে পোষা শ্যাওলা
ফাঁসির মঞ্চে জরো হচ্ছে ইচ্ছের লাশ।


বিবেকের গলিতে রাত অসীম অন্ধকার
অনুভুতির আঘাতে আহত মৃত্তিকার ফসল
প্রাণের শ্রাবণে ভিজে ভিজে হয়েছে কাদা।
পকেটে সূর্যউদয় নিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি
ভালোবাসা একাকী শতাব্দীর দ্বাদশ তৃষ্ণা
শূন্যতার নদী অজ্ঞাতার অন্ধকারে নিমজ্জিত।


ছুটে চলি মহাকালের অফিস কক্ষে
গহীন নিলিমার ইচ্ছের রঙ্গিন ক্যনভাসে।
সোনালী স্বপ্নে অনুভূতির প্রথম প্রভাতে
অনাগত ভবিষ্যতের ফলকে মৃত্রিকার বুকে
নাঙল ধরি চাষ করি শষ্য ফলাই কক্ষপথে
শুষ্ক দগ্ধ বীজ ভালোবাসার মনোভূমিতে।


সোনার খাটে নির্ঘুম চৈতালী সারা রাত
বুকে জেগে উঠে কাঁচভাঙ্গা চতুর হাওয়া।
সীমান্তের স্টেশনে থামে বেগবতী ট্রেন
ডাকঘরে উঠে আসে চিঠির মিছিল
উর্ধ্ব শ্বাসে দৌড়ায় শতাব্দীর ডাকপিয়ন
ক্রমশ নিমজ্জিত হই ভালোবাসার দ্ররিদ্রসীমায়
জীবনকে টুকরো টুকরো করে দেখতে ইচ্ছে হয়
বিষণ নিঃসঙ্গতায় নির্জন দুপুরে স্বপ্ন ও প্রেমে।


ক্রমশই দূরত্ব দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হয়
পুকুরের জলে শ্যাওলা মাখে বৈশাখি চাঁদ
জ্যোৎস্নার প্লাবনে স্নান করে প্রিয় দুঃখ
স্বাধীন সত্তা দ্বীর্ঘশ্বাস আর বালক বৃক্ষ।


নির্মম বান্তবের দূর্ভেদ্য দেয়াল ভেদ করে
মধ্যরাতে অথবা শিশিরসিক্ত প্রত্যুষে
যখন পরিত্যক্ত কুয়োয় লুকায় অন্ধকার
যদি তোমার শহরে নাগরিক জিবনের
লাশের বিদ্রোহে আমাকে দেখতে পাও
অন্তহীন প্রাণের অপচয়ে শব্দহীন আর্তনাদে
শুধু ভালোবাসি বলো বালক বৃক্ষটিকে।


মির্জাপুর,বেগুনবাড়ী,সদর,ময়মনসিংহ
তারিখঃ ২৪/১২/২০ ইং