আমি এখন আর অবাক হই না
জীবন থেকে কেমন করেই যেন উঠে গেল
আশ্চর্যবোধক চিহ্ন চায়ের দোকানের আড্ডা
রোজকার গোলাপ কেনার রুটিন আর
কাটা ঘুড়ির পিছনে ছুটে চলার দুরন্তপনা।


প্রতিটি বসন্তেই দুঃখরা জেগেছে
জাগ্রত সত্তার মতই দাঁড়িয়েছে হৃদপিণ্ডে
নীলাদ্র মেঘ ভিজিয়ে দিয়ে গেছে চোখের পাতা
যুগ যুগ দেখেছি কৃষ্ণচূড়াহীন প্রিয়ার খোঁপা
তাই হারিয়ে গেছে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন টা।


রোজ মাতালের বক্তব্য শুনতে যাই
মানুষ যে বুকে পুষে যান মহান দুঃখের তীর্থ
সেখানে না গেলে হয়তো বুঝা উঠা যেত না।
চোখের জল কতটা সচ্ছ(স্বচ্ছ) হতে পারে
কান্নার মাঝেও যে এক চিলতে হেসে উঠা যায়
তা জানাও হয়তো হয়ে উঠতো না।


দুঃখরা যে শ্মশানের প্রাচীন প্রাচীর ভেঙে
জাগ্রত সত্তার মতই হৃদপিণ্ডে দাঁড়ায়
ভালোবাসা নামক বিষফোঁড়া'ট কতটা টাটায়
যন্ত্রণার নিজস্ব গতিপথে শুক্লপক্ষে রাতে
সত্যিই আশ্চর্য বোধক চিহ্নটা  উঠে যায়
নির্মম বাস্তবতার বামচোখা আঘাতে আঘাতে।