হয়তো বেঁচে আছি এই লোকালয়ের
শ্বেতকায় যন্ত্রণাগুলো সাথে আমার বসবাস
নির্জীব কিছু শব্দ মুখ থুবরে পরে আছে
রক্ত চক্ষু বলছে কিছু বলতে চায়
তবুও নিরবচ্ছিন্ন নিরবতা ভাঙে নি জোছনা।


বাগানের পশ্চিম হাঁটছে এলোমেলো বাতাস
হাসনাহেনার গিঁটে আঁটকে গেছে গন্ধের গন্তব্য
দু'একটা নক্ষত্রও মুখ লুকালো রোমাঞ্চিত রুমালে
নির্বাসিত বসন্ত প্রহসন তীর্থের প্রান্তিক দেয়ালে
ভাঙা ফ্রেমের থোকা থোকা হলুদ অস্পষ্ট কিছু বলল।


একটুকরো সূর্য কুয়াশায় ভিজে ভিষণ জড়োসড়ো
ক্লান্তির রাশ্মিতে ভেঙে যায় দিগন্তের মেঘমালা।
অনেক শেওলায় ছেঁয়ে আছে নিয়তির কয়েকটি সিঁড়ি
ক্রমশই দীর্ঘশ্বাস মন্থরতর হয়ে আসে পৈত্রিক ভিটার
তবুও নিরবিচ্ছিন্ন নিরবতা ভাঙেনি জোছনার।


হয়তো বেঁচে আছি কতো সহস্র জন্মান্তর
অসংখ্য স্বপ্নের মৃত্যু অট্টহাসি দিয়ে গেছে
অবেলার প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেছে তীর্থের ট্রেন
বৈরাগী বসন্তের কৃষ্ণচূড়ার মতন দুঃখের রঙিন জটা
রক্ত চক্ষু বলছে এখনো ভাঙেনি জোছনার নিরবতা।


তারিখঃ১২/১২/২১ইং
মির্জাপুর সদর ময়মনসিংহ